আলফাডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভা

আগের সংবাদ

নতুন মাথাব্যথা ‘হিজরত’! : আফগানিস্তানে তালেবান সাফল্যে উজ্জীবিত আইএস অনুসারী আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে সক্রিয়

পরের সংবাদ

ভয়েস অব আমেরিকাকে শেখ হাসিনা : সবাই কথা বলতে পারছে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকারে আসি সেসময় বাংলাদেশে একটিমাত্র টেলিভিশন, একটি রেডিও ও সামান্য কয়েকটি পত্রিকা ছিল। আমি সরকারে আসার পর সব বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিলাম। বর্তমানে ৩২টা টেলিভিশন চালু আছে। এসব চ্যানেলে টকশো প্রোগ্রামটায় বেশি কথা হয়। সারাদিন সেখানে কথা বলা হয়। সেখানে সরকারকে গালি দেয়া, সমালোচনা করা, প্রত্যেকটা কাজে সত্য-মিথ্যা যে যেভাবে পারছে, বলেই যাচ্ছে। এখন সব কথা বলার পর কেউ যদি বলে যে আমাকে কথা বলতে দিল না, তো সেখানে আর কী জবাব আছে- আমার সেটাই প্রশ্ন। মঙ্গলবার সম্প্রচারিত ওয়াশিংটনে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা সার্ভিসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। এ সফরে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেয়াসহ নানা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সাক্ষাতকারটি নেয় ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগ। সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নানা অভিযোগ, মিডিয়ার স্বাধীনতা ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণের পথে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ, গৃহহীনদের জন্য নেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ তার সরকারের নেয়া নানা কল্যাণমুখী নীতি ও কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী, ট্রান্সজেন্ডারদের কল্যাণে নেয়া নানা পদক্ষেপ, জিয়া-এরশাদ আমলের সামরিক শাসন, আগামী নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন।

বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা অভিযোগ শোনা যায়- ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের’ অপপ্রয়োগের ফলে দেশে ভয়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। আর এজন্য মিডিয়া সেল্ফ সেন্সরশিপ চর্চা করছে- ভয়েস অফ আমেরিকার এ প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে যারা এ কথাটি বলেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্নটি হচ্ছে- ‘১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকারে আসি সেসময় বাংলাদেশে একটা মাত্র টেলিভিশন ছিল- সেটাও সরকার পরিচালিত। কোনো বেসরকারি টিভি ছিল না। একটি মাত্র রেডিও, সেটাও সরকার পরিচালিত। সরকার পরিচালিত কয়েকটা পত্রিকা ছিল। আর সামান্য কয়েকটা পত্রিকা ছিল। আমি সরকারে আসার পর সব বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিলাম। টেলিফোন ছিল এনালগ, ডিজিটাল করে দিলাম। মোবাইল ফোন ব্যবহার, কম্পিউটার শিক্ষা, ডিজিটাল ডিভাইস এগুলো ব্যবহার এবং এটার ওপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বর্তমানে আমাদের ৪৪ টা বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দেয়া আছে, সেখানে ৩২টা টেলিভিশন চালু আছে। এসব চ্যানেলে টকশো প্রোগ্রামটায় বেশি কথা হয়। সারাদিন সেখানে কথা বলা হয়। সেখানে সরকারকে গালি দেয়া, সমালোচনা করা, প্রত্যেকটা কাজে সত্য-মিথ্যা যে যেভাবে পারছে, বলেই যাচ্ছে। এখন সব কথা বলার পর কেউ যদি বলে যে আমাকে কথা বলতে দিল না, তো সেখানে আর কি জবাব আছে- আমার সেটাই প্রশ্ন। সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে। যখন মিলিটারি ডিকটেটর পাওয়ারে ছিল তখন কি কারো কথা বলার অধিকার ছিল? স্বাভাবিক চলারও অধিকার ছিল না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর দেশে কারফিউ জারী ছিল। প্রতিদিন রাত ১১ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত কোনো মানুষ রাস্তায় বের হতে পারত না।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির ‘নির্বাচনকালীন ও নিরপেক্ষ’ সরকারের দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচন আয়োজন করেছিল। তখন তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা তৈরী করে। আইন পরিবর্তন করে বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে তাদের মন মতো লোক দিয়ে যাতে প্রধান উপদেষ্টা হতে পারে- সেই আইন করল। আমরা অনেকগুলো দল নিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংস্কার নিয়ে আসলাম। আমাদের সময় কিন্তু আইনের মাধ্যমে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। তাদেরকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন যাতে ফেয়ারভাবে করতে পারে, সে ব্যবস্থা করা আছে। এরপরও এই দাবিটা কেন?
বাংলাদেশে গুম-খুনের যে অভিযোগগুলো আছে সেগুলোর বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকার কী চিন্তা-ভাবনা করছে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একটা মানবাধিকার কমিশন আছে। তারা কিন্তু তদন্ত করছে। যখন আমরা তালিকা চাইলাম, তখন ৭০ জনের একটা তালিকা দেয়া হলো। সেখানে দেখা গেল বেশির ভাগই বিএনপির অ্যাকটিভিস্ট, তারা মিছিল করছে। অনেকে ব্যক্তিগত কারণে ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না, এ জন্য নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। মারা গেছে এমন ৭ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন না, আমরা মানবাধিকার সংরক্ষণ করেছি।
২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নেবে। আগামী ৫-১০ বছরে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জগুলো কী- এমন প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালকে লক্ষ্য করে আমরা আমাদের পরিকল্পনাটা নিলাম। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০১৪ সালে নির্বাচন হলো। জনগণ আমাদের কাজে খুশি হয়ে আমাদের আবার ভোট দিল, আমরা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসলাম। এর সুবিধা হলো সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে কাজগুলো আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তৃতীয়বারও যখন নির্বাচন হলো তখন আমাদের ভোট দিল এবং আমাদের কাজগুলো করতে পারলাম। দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নামালাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল দারিদ্র্যের হার কমিয়ে ১৬-১৭ শতাংশে নিয়ে আসব। এর মধ্যে করোনাভাইরাস এসে আমাদের অগ্রযাত্রাটা একটু ব্যাহত করে দিল। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, সেটাও একটা বাধা সৃষ্টি করল। তবে আমরা পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যাচ্ছি।
সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে কী, আমার পরিবার খুবই রক্ষণশীল। তারপরেও মেয়েদের পড়াশোনা, কর্মক্ষমতা বা সম্পত্তিতে অধিকার- এ ব্যাপারে সবসময় সচেতন। এখানে কখনোই কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি। ৯৬ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের যখন ঘর করে দিলাম। কয়েকদিন পর দেখি যে ঘর অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়ে আবার রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ায়। তখন চিন্তা করলাম এভাবে ঘর কেউ যেন আর বিক্রি করতে না পারে। সেজন্য ঘরের মালিকানা যেন স্বামী-স্ত্রী দুই জনেরই থাকে- নীতিমালা করে দিলাম। যদি কখনো কোনো সমস্যা দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে এই ঘরগুলোতে মেয়েদেরই অধিকার থাকবে, ছেলেদের নয়। দুই টার্ম মিলে প্রায় ১০ লাখ পরিবারকে ঘর দিয়েছি। এতে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ আশ্রয় পেয়েছে। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য কিছু টাকা দেই, ট্রেনিং করাই। প্রতিটি ঘরের সঙ্গে জমিও দিচ্ছি। সেখানে তারা চাষাবাদ করছেন। আমার কাছেও সবজি পাঠিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ ৯ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। যা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি একাধিকবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছেন বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না। এমন একটা সিদ্ধান্ত কেন নিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, আমাদের তো এমনিতেই ঘনবসতির দেশ। তার ওপর এত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এভাবে থাকা তো একটা বোঝার মতো হয়ে যাওয়া। এরা যখন আসে, তখন ৪০ হাজার মেয়ে প্রেগন্যান্ট ছিল। আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করলাম। করোনার সময় ভ্যাকসিন দিলাম। কিন্তু এভাবে কত দিন এই রিফিউজি থাকবে, তাদের তো নিজের দেশে ফিরে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বারবার অনুরোধ করেছি যে আপনারা একটা ব্যবস্থা নেন, যাতে তারা নিজের দেশে ফিরে যেতে পারে। তারা দীর্ঘদিন থাকার ফলে কক্সবাজারের সমস্ত পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। আগে যেখানে বন ছিল, এখন সেখানে একটা গাছও নেই। ইদানীং আবার মিয়ানমারে গোলমাল শুরু হয়েছে। তো এ জন্যই বলা হয়েছে, আমরা তো আর নিতে পারব না, সম্ভব না। আমাদের দেশেরও তো একটা ধারণ ক্ষমতা থাকতে হবে। তাছাড়া তারা নিজেরা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। নিজেরা মারামারি করছে। খুনোখুনি করছে।
আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে কোটা তুলে দেয়া হয়েছে। ফলে সমাজে যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, নারী ও পিছিয়ে পড়া জনপদের মানুষ আছে তারা একটা অসম প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি- জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারী ও মেয়েদের চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সৃষ্টি ও লেখাপড়া অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন। দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো হঠাৎ আমাদের ছাত্র সমাজ রাস্তায় নেমে পড়ল। বিশেষ করে মেয়েরাও বলল যে আমরা কোটা চাই না। প্রতিযোগীতা করেই চাকরিতে আসব। আমরা তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম, আমি কথা বলেছি। তারা শুনেনি। যখন শুনল না, তখন কোটা বাতিল করে দিলাম। তারাই ভুগবে বেশি। এটা আমাদের কিছু করার নেই, একটা সময় তারাই আবার আসবে। তবে এখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা পিছিয়ে পড়া যারা আছেন, আমরা কিন্তু চাকরি ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে যাচ্ছি। হয়তো কোটা বলা হচ্ছে না। চাকরিক্ষেত্রে এরা যেন অগ্রাধিকার পায়, ব্যবস্থাটা অব্যাহত আছে। সেখানে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।
গুয়াতেমালা সংবিধান অনুযায়ী সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা কোনো ব্যক্তি সে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। সেইসঙ্গে তাদের রক্ত সম্পর্কিত কোনো আত্মীয় যেমন ছেলেমেয়ে- এদেরকেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সংবিধানের এ ধরনের কোনো ধারা যুক্ত করা কিংবা আইন তৈরী করা বিষয়ে আপনারা ভেবেছেন কি কখনো- ভয়েস অফ আমেরিকার এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান সামরিক শাসক ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। এরপর জিয়াউর রহমান ও এরশাদ নিজেকে একদিকে সেনাপ্রধান আরেকদিকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ক্ষমতা দখল করে নেয়। আর্মি রুলস, সংবিধান সবকিছু ভায়োলেট করে তারা ক্ষমতা দখল করল। আমরা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে সফল হলাম। এরপরও ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টেই রয়ে গেল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় সংবিধানের ধারা অনুচ্ছেদ-৭ এ বলা আছে প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগন। আমরা সেখানে আরেকটা ধারা যুক্ত করেছি যে কেউ যদি এভাবে কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধিকে ক্ষমতা থেকে হঠায় বা জোর করে ক্ষমতা দখল করে তাহলে সেটা হচ্ছে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গণতন্ত্রকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য আমরা এই ব্যবস্থাটুকু নিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশে দীর্ঘদিন সামরিক শাসন চলার ফলে সমাজের সব স্তরেই এদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন সবাই এমনভাবে ছড়িয়ে গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়