আলফাডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভা

আগের সংবাদ

নতুন মাথাব্যথা ‘হিজরত’! : আফগানিস্তানে তালেবান সাফল্যে উজ্জীবিত আইএস অনুসারী আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে সক্রিয়

পরের সংবাদ

বাংলাদেশে প্রস্তুত ফিফার টি-শার্ট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি বছরের নভেম্বরে পর্দা উঠছে বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক দেশ কাতার। কাতারে অংশ নিতে না পারলেও ভিন্নভাবে থাকবে বাংলাদেশের নাম। ফিফার ৬ লাখ অফিসিয়াল টি-শার্ট তৈরি করেছে বাংলাদেশ। মেড ইন বাংলাদেশ লেখা ফিফার টি-শার্ট পরে অফিসিয়াল কর্মীরা ঘুরবেন সব ভেন্যুতে। চট্টগ্রামে তৈরি হওয়া এসব টি-শার্ট এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে বায়ারের হাতে।
ফিফার বিশ্বকাপের পোশাকপণ্য সরবরাহে অনেকের সঙ্গে লাইসেন্স পেয়েছে রাশিয়ার বিখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্পোর্টমাস্টার। তারা ৬ লাখ টি-শার্ট বানানোর জন্য চুক্তি করে চট্টগ্রামের গোসাইলডাঙ্গার সনেট টেক্সটাইলের সঙ্গে। চলতি ফেব্রুয়ারি থেকে টি-শার্ট উৎপাদন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ৬ লাখ টি-শার্টের রপ্তানিমূল্য ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিন লাখ টি-শার্ট জাহাজীকরণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর গোসাইলডাঙ্গা এলাকার সনেট টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় কাতার বিশ্বকাপের জার্সি তৈরির কাজ হয়। কাটিং, সুইং, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ফিনিশিং, প্যাকেজিংসহ কালো, সাদা, হলুদ, কমলা বেগুনি ছাড়াও মোট ছয় রকমের ছয়টি ডিজাইনের টি-শার্ট তৈরির করা হয়। যেগুলো ২০২২ সালের ফিফা কাতার বিশ্বকাপের অফিসিয়াল টি-শার্ট হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
সনেট টেক্সটাইল ২০১৮ সালে একই ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ২ লাখ পিস টি-শার্ট ও জ্যাকেট সরবরাহ করে।
পণ্যের গুণগত মান ভালো হওয়ায় ২০২০ সালের ইউরো কাপের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার পিস টি-শার্ট সরবরাহ করে। একই ধারাবাহিকতায় স্পোর্টসমাস্টার ২০২২ বিশ্বকাপের জন্য ৬ লাখ পিস টি-শার্টের অর্ডার দেয়। আগামী ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দলের জার্সি তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ফিফার লাইসেন্সে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পণ্য তৈরি করে নিয়ে যায়। আমাদের রাশিয়ান ক্রেতাও ফিফা থেকে লাইসেন্স নিয়ে প্রায় ৬ লাখ টি-শার্ট তৈরির অর্ডার দিয়েছিল। তারা যে ডিজাইন দিয়েছিল সেই অনুযায়ী আমরা টি-শার্টগুলো তৈরি করে দিয়েছি। এগুলো রাশিয়া নিয়ে যাবে। সেখানে তারা তাদের স্টলে সেগুলো বিক্রি করবে। আমরা ৬ লাখ পিসের অর্ডার পেয়েছিলাম। ৩ লাখ পিস টি-শার্ট শিপিং করা হয়েছে। আরো তিন লাখ টি-শার্ট ২৫ নভেম্বর শিপিং করছি।
জানা যায়, সনেট টেক্সটাইল গ্রুপের বার্ষিক রপ্তানি ২০ মিলিয়ন ডলার। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের ১০-১২টি পোশাক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে নিট পোশাক রপ্তানি করে কারখানাটি। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সনেট টেক্সটাইলের আরো দুটি পোশাক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর থেকে কাতারে শুরু হবে বিশ্বকাপ এবং চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়