হাজারীবাগের বিস্ফোরণ : পা হারানো দিলীপসহ শঙ্কাজনক অবস্থায় ২

আগের সংবাদ

পাঁচ কারণে বাড়ছে ডেঙ্গু!

পরের সংবাদ

সা¤প্রদায়িক সহিংসতার শঙ্কা : পূজামণ্ডপে হামলাকারীরা জামিনে মুক্ত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের প্রধান দুর্গাপূজার মণ্ডপ জে এম সেন হলে গত বছর ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় পূজার্থীরা শঙ্কিত বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, গতবছর বিজয়া দশমীর দিনে পূজামণ্ডপে ওই হামলার প্রতিবাদের মুখে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৮ ঘণ্টার মধ্যে ৭৬ জনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পূজা পরিষদের পক্ষ থেকে আইনি সেল গঠন করা হয়। সেলের জোরালো তৎপরতার কারণে আসামিরা কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। পরে তারা উচ্চ আদালত থেকে একে একে জামিনে বের হয়ে আসে। সা¤প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টিকারীরা জামিনে বের হয়ে আসায় আবারো শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই মহলটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা পোস্ট দিয়ে স¤প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, গতবছরের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সা¤প্রদায়িক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেজন্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। এরপর আমরা লক্ষ্য করছি, দেশের কিছু কিছু স্থানে মৌলবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী সনাতন স¤প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে জবরদখল, মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুরের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা পোস্ট দিয়ে স¤প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা থেকে বিরত ও সজাগ থাকতে হবে। আমরা প্রত্যাশা রাখি বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় এবারের শারদোৎসব সুষ্ঠু ও শান্তি-শৃঙ্খলার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
এবার চট্টগ্রাম নগরীতে ১৬টি থানায় ২৮৩টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হবে। সব পূজামণ্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পূজার আনুষ্ঠানিকতা রাত ১২টার মধ্যে শেষ করার জন্য আয়োজকদের অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সব স¤প্রদায়ের সমঅধিকার নিশ্চিত করা, মঠ-মন্দিরে হামলা-সহিংসতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন সাধারণ ছুটি, নির্বাচনে ধর্ম ও সা¤প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং দুর্গাপূজা চলাকালীন সরকারি-বেসরকারি সব স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখাসহ ১৪ দফা দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, সাবেক সভাপতি সাধন ধর, বিমল কান্তি দে, চন্দন তালুকদার এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জী, সুমন দেবনাথ, শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, যুগ্মসম্পাদক মিথুন মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়