হাজারীবাগের বিস্ফোরণ : পা হারানো দিলীপসহ শঙ্কাজনক অবস্থায় ২

আগের সংবাদ

পাঁচ কারণে বাড়ছে ডেঙ্গু!

পরের সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগে বিপর্যস্ত লামিচানের ক্যারিয়ার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সপ্তাহ তিনেক আগে নেপালের ক্রিকেটার লামিচানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরি। দ্রুতই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে নেপাল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও নেপালে ফেরেননি সন্দিপ লামিচানে। ধর্ষণের অভিযোগে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে দাবি তার। নিজের অবস্থার উন্নতি হলে দ্রুত দেশে ফিরবেন বলে আশাবাদী নেপালের এই তারকা লেগ স্পিনারের। এর আগে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে জরুরি সভা ডেকে ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব নেপাল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সন্দিপ লামিচানেকে।
নিষিদ্ধ হওয়ার সময় নেপাল জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন লামিচানে। ২০১৮ সালে নেপালের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন তিনি। গত কয়েক বছরে বিশ্বক্রিকেটে নিজেকে তিনি পরিচিত করেছেন নেপাল ক্রিকেটের উজ্জ্বল বিজ্ঞাপন হিসেবে। নেপালের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলছিলেন দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয়।
আইপিএল থেকে শুরু করে বিগ ব্যাশ, সিপিএল, বিপিএল, এলপিএলে খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তার পারফরমেন্স দুর্দান্ত। দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ৫০ ওয়ানডে উইকেট ও তৃতীয় দ্রুততম হিসেবে ৫০ টি-টোয়েন্টি উইকেটে পৌঁছানোর কীর্তি আছে তার। সর্বশেষ গত ৩০ অগাস্ট তিনি মাঠে নামেন নেপালের হয়ে কেনিয়ার বিপক্ষে নাইরোবিতে। এরপর সিপিএলে জ্যামাইকা তালাওয়াহসের হয়ে খেলার কথা থাকলেও এই অভিযোগের পর আর খেলা হয়ে ওঠেনি।
ধর্ষণ মামলার প্রায় ৩ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর লামিচানে দেশে না ফিরলে তাকে ফেরাতে নেপালের পুলিশ ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেয়ার প্রস্তুতি নেয়। ঠিক এ সময়ই দ্রুত দেশে ফেরার ঘোষণা দেন তিনি।
ধর্ষণ মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর আমাকে মানসিকভাবে আহত করেছে। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করব, কি করব না। সুস্থ হয়ে শিগগিরই দেশে ফিরবেন তিনি, আমার শরীরের অবস্থা ধীরে ধীরে ভালোর দিকে যাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব নেপালে ফিরে অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করছি আমি।
নেপালের হয়ে ৩০ ওয়ানডে ও ৪৪ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার গভীর চক্রান্তের শিকার হয়েছেন দাবি করে লেখেন, ছেলেবেলা থেকেই আমি ক্রিকেটে আচ্ছন্ন, খুব সাধারণ পরিবারের মানুষ। ক্রিকেট ও দেশ আমার জীবনে সবকিছুর ওপরে।
নেপালের ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পরিচিত করে তুলতে আমারো ভূমিকা আছে, সেটা খেলোয়াড় হিসেবে হোক বা অধিনায়ক হিসেবে। আমি একজন সৎ ক্রিকেটার, সবটুকু দিয়ে এই দেশের জন্য খেলেছি, কিন্তু আজ নিজেকে গুরুতর ষড়যন্ত্রের শিকার মনে হচ্ছে। তিনি যোগ করেন, আমাকে দোষী প্রমাণের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমার অনুপস্থিতিতেও আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। নেপালের সংবিধান অনুযায়ী যতটা বুঝি, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত আমি নির্দোষ। সংবিধানেই আমার অধিকার আছে সম্মান নিয়ে বাঁচার, নির্যাতনের বিরুদ্ধে থাকার, গোপনীয়তা রক্ষা করার, স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার ও নিজের মতো থাকার। আমার আইনী পরামর্শকদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, এসব অধিকার আমার আছে এখনো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়