কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রতীক। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে নারী জাগরণ, নারীর অগ্রগতির প্রতীক। দেশের সব ক্ষেত্রেই যে উন্নয়ন-অগ্রগতি সেটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণেই। যারা বলে পাকিস্তানই ভালো ছিল, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে হাসুমণির পাঠশালা আয়োজিত দুদিনব্যাপী ‘শেখ হাসিনা জন্মোৎসব’র উদ্বোধনী পর্ব শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ও গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে ‘প্রস্ফুটিত পুষ্পের রঙিন উচ্ছ¡াস’ শিরোনামের উদ্বোধনী পর্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমা আক্তার বিপ্লবী। এর আগে শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার মো. আতিকুর রহমান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহার, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৭ মে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেশে পদার্পণ করেছিলেন। তখন আমি ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক। সেদিন অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল। আমরা স্লোগান ধরেছিলাম- ‘ঝড় বৃষ্টি আঁধার রাতে, শেখ হাসিনা আমরা আছি তোমার সাথে।’ সেদিন প্রকৃতি যেন শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর এই রক্তে ভেজা মাটিতে পেয়ে বৃষ্টির অঝোর ধারায় আনন্দে স্লোগান দিচ্ছিল। আর মেঘের প্রচণ্ড গর্জন যেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রতি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছিল।
সেদিন বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমাকে যদি মৃত্যুর মুখোমুখিও দাঁড়াতে হয় এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের জন্য আমি পিছপা হবো না। সেই থেকে ৪১ বছরের পথ চলায় শেখ হাসিনা সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের পাশে থেকেছেন, আছেন। তাকে ১৯ বার হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে, কিন্তু বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে তিনি বিচলিত হননি, দ্বিধান্বিত হননি, থমকে দাঁড়াননি। বরং আরো দ্বীপ্তপদভারে, আরো প্রত্যয় নিয়ে তিনি এ দেশের মানুষের সংগ্রামের কাফেলা নিয়ে এগিয়েছেন। এ দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। নব্বইয়ের যে আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে, সেই আন্দোলনের নেতৃত্বও দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আজকে পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে যে, বাংলাদেশ তাদের পেছনে ফেলে বহুদূর এগিয়ে গেছে। আর অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব বলেন, পাকিস্তান ভালো ছিল। যারা বলে পাকিস্তান ভালো ছিল, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না, থাকা উচিত নয়।’
গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের কাছে উন্নত দেশ উপহার দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই হাতকে শক্তিশালী করতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।