কাগজ প্রতিবেদক : চাঁদপুরের ‘বালুখেকো’ খ্যাত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আপাতত মুক্ত থাকছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সেলিম। এসময় তার পক্ষে জামিনের শুনানি করেন আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম। অপরদিকে দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। এরপর বিচারক মো. আসাদুজ্জামান আগামী ১২ অক্টোবর দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন। এছাড়া এই কয়েকদিনের জন্য আসামিকে আইনজীবীর জিম্মায় দেন বিচারক। এই প্রেক্ষাপটে আগামী শুনানির দিন সেলিমকে আদালতে হাজির করার ব্যাপারে বন্ড দাখিল করেন তার আইনজীবী। দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, গত ১ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এ মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে ২০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ থেকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সেলিম খানের ইউনিয়নের মেঘনা পাড়ে একটি এলাকা নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান সেলিম খান, তার ছেলেমেয়েসহ অন্য জমির মালিকরা অস্বাভাবিক মূল্যে দলিল তৈরি করেছেন। পরে জেলা প্রশাসকের তদন্তে জমির অস্বাভাবিক মূল্য দেখিয়ে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করার পরিকল্পনা ধরা পড়ে। ধরা পরে সেলিম খানের দুর্নীতিও।