হাজারীবাগের বিস্ফোরণ : পা হারানো দিলীপসহ শঙ্কাজনক অবস্থায় ২

আগের সংবাদ

পাঁচ কারণে বাড়ছে ডেঙ্গু!

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে দুর্গোৎসবের আমেজ : প্রতিমায় চলছে রংতুলির কাজ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : আর কদিন পরেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে এখনো আরো কয়েক দিন বাকি থাকলেও শুভ মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ, দেবী দুর্গার আগমনি বার্তা। বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এবার ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব। প্রস্তুতি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
চট্টগ্রাম নগরীর পূজামণ্ডপগুলোতে দুর্গা দেবীর প্রতিমায় মাটির প্রলেপ দেয়া শেষ হয়েছে। এখন শেষ মুহূর্তে চলছে রংতুলির কাজ। ফলে এখন দম ফেলার ফুসরত নেই মৃৎশিল্পীদের। দক্ষ কারিগরদের হাতের শৈল্পিক ছোঁয়ায় যেন প্রাণ ফিরে পাবে প্রতিমা।
চট্টগ্রাম জেলায় এবার মোট দুই হাজার ৬২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিমা পূজা এক হাজার ৫৮৭টি এবং ঘটপূজা ৪৭৫টি। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরে এবার ২৮৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, রংতুলির আঁচড়ে একেকটি প্রতিমাকে ফুটিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রতিমা শিল্পীরা। তারা জানান, পূজারমণ্ডপের আনুষঙ্গিক কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এখন বাকি মণ্ডপের ভেতরের কাজ ও আর প্রতিমায় রং দেয়া। নগরীর দেওয়ানজীপুকুর পাড়ের রূপশ্রী শিল্পালয়, হাজারী লেইনের মহামায়া স্টুডিও, সদরঘাটের লোকনাথ শিল্পালয়, নটরাজ শিল্পালয়, স্বর্গীয় দুলাল পাল প্রতিমালয় ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি শিল্পালয়ে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৪০টি পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। শিল্পালয়ের একপাশে সারিবদ্ধভাবে দেবী দুর্গার প্রতিমা এবং অন্যপাশে ল²ী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশের মূর্তি রাখা রয়েছে। তৈরিকৃত প্রায় সব প্রতিমাই বিক্রির জন্য অর্ডার হয়ে গেছে।
মৃৎশিল্পীরা জানান, প্রতিমার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতি বছরই তারা এই কাজের মাধ্যমেই উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এ পেশা ছাড়া অন্য কোনো পেশায় তারা জড়িত নন। তাদের পূর্ব পুরুষরাও এই একই কাজ করেছেন।
সদরঘাটের লোকনাথ শিল্পালয়ের কর্ণধার মৃৎশিল্পী অমল পাল বলেন, ‘আষাঢ় মাস থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিমা গড়তে ১৫-২০ দিন সময় লাগে। কাঠ, বাঁশ, খড়, এটেল ও বেলে মাটি দিয়ে মূলত

প্রতিমা বানানো হয়। এবার বড়, ছোট ও মাঝারি মিলে ৪০টি প্রতিমা তৈরি করেছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। রংতুলির কাজও প্রায় শেষের দিকে।’
উল্লেখ্য, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতি বছর অশুভ শক্তির বিনাশ কল্পে দেবী দুর্গা এই ধরাধামে আবির্ভূত হয়। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সমাজ থেকে সব অন্যায়-অবিচার, গøানি-বৈষম্য দূর করার জন্যই আয়োজন করা হয় শারদীয় দুর্গাপূজার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়