হাজারীবাগের বিস্ফোরণ : পা হারানো দিলীপসহ শঙ্কাজনক অবস্থায় ২

আগের সংবাদ

পাঁচ কারণে বাড়ছে ডেঙ্গু!

পরের সংবাদ

কুড়িগ্রামে সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তৈয়বুর রহমান, কুড়িগ্রাম থেকে : কুড়িগ্রামে গভীর শ্রদ্ধায় সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সব স্তরের মানুষ।
২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সৈয়দ শামসুল হক। কবির শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নিজের জন্ম শহর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে সমাধিত করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে শায়িত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সমাধিতে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মিনহাজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মির্জা নাসির উদ্দীন, এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, কবিপুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক প্রমুখ।
প্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হক বলেন, আমার বাবার কবরে সমাধি ও কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজটি ঝুলে আছে। আমি চাই দ্রুত এ কাজটি শুরু করা হোক।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর ও একুশে পদক প্রাপ্ত এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, দেশবরেণ্য লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সমাধি সৌধ ও কমপ্লেক্সটি নির্মাণ হলে এখানে তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে গবেষণা হবে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখানে এসে তার বই পড়তে পারবে।
বাংলা সাহিত্যের সব্যসাচী খ্যাত সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ার পৈত্রিক নিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের

আট সন্তানের মধ্যে সবার বড়। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার।
বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় সমানভাবে পদচারণার জন্য সৈয়দ শামসুল হককে ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়।
তিনি ১৯৬৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তিনি একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৪ সালে একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে সরকার।
১৯৫০-এর দশকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’। এছাড়া তার লেখা অন্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে খেলারাম খেলে যা, নিষিদ্ধ লোবান, সীমানা ছাড়িয়ে, নীল দংশন, বারো দিনের জীবন, তুমি সেই তরবারী, কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন ও নির্বাসিতা।
তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙ্ক্তিমালা, পরানের গহীন ভিতর, অপর পুরুষ, অগ্নি ও জলের কবিতা। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় ও নুরুলদীনের সারা জীবন সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যনাট্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়