সোনারগাঁওয়ে দলিল লিখককে হত্যা স্ত্রী আটক

আগের সংবাদ

জন্মদিনের শুভেচ্ছা : জননেত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার

পরের সংবাদ

বাগেরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচন : প্রস্তাবক-সমর্থককে তুলে নিয়ে অন্য মনোনয়নে স্বাক্ষর!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাগেরহাট জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের (মোল্লাহাট উপজেলা) সদস্য নির্বাচনে মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীকে ভয়ভীতির মাধ্যমে জোর করে তুলে নিয়ে অন্য ‘ডামি’ প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা ডেকে তার পছন্দমতো ওয়ালিউজ্জামানকে অগণতান্ত্রিক ও দলীয় নীতি বহির্ভূতভাবে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। উপজেলার সব ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অন্য কারো মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থক হতে হুমকি দিয়ে নিষেধ করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক তাজউদ্দিন আহম্মদ তার দলীয় নীতি বহির্ভূত একক প্রার্থী ঘোষণার প্রতিবাদে ১নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। সংগৃহিত মনোনয়নপত্রে উপজেলার ৩নং গাংনী ইউনিয়নের ৩নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমা বেগম প্রস্তাবকারী ও ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য হান্নান সরদার সমর্থনকারী হিসাবে স্বাক্ষর দেন।
তাজউদ্দিন আহম্মদের পক্ষে প্রস্তাব-সমর্থনকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত মনোনয়নপত্র বাতিল করার জন্য স্থানীয় ওই নেতা ও তার পছন্দের প্রার্থী ওয়ালিউজ্জামান কর্তৃক কিছু ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে নাজমা বেগম ও হান্নান সরদারকে ১২ সেপ্টেম্বর রাতে তুলে এনে ডামি প্রার্থী হাসান আলী মোল্লার মনোনয়পত্রে জোর করে স্বাক্ষর করানো হয়। বিষয়টি জানার পর তাজউদ্দিন আহম্মদের নামে অন্য একটি মনোনয়মপত্র বাগেরহাট জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর সংগ্রহ করা হয়। এই মনোনয়নপত্রে ১নং উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য এস এম বাদল ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য রাফেজা আক্তারকে দিয়ে প্রস্তাবক ও সমর্থনকারী হিসেবে স্বাক্ষর করানো হয়। তাজউদ্দিন আহম্মদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে যাতে বাতিল হয় সে উদ্দেশ্যে স্থানীয় ওই নেতা ও তার পছন্দের প্রার্থী ওয়ালিউজ্জামান পুনরায় এই দুই জন সদস্যকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে আরেক ডামি প্রার্থী শাহাবুদ্দিন শাবুর নামে সংগ্রহ করা মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন। বিষয়টি নিয়ে তাজউদ্দিন আহম্মদ জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করলে সময় স্বল্পতা ও স্থানীয় ওই নেতা কর্তৃক স্বাক্ষরদানকারী সদস্যদের জোর করে আটক রাখার কারণে বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। ফলে ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত যাচাই বাছাইয়ে তাজউদ্দিন আহম্মদের মনোনয়নপত্রটি অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
তাজউদ্দিন আহম্মদ তার মনোনয়নত্র অযোগ্য ঘোষণার বিরুদ্ধে ২০ সেপ্টেম্বর খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২২ এর আপিল আদালতে আপিল করলে ওই একই কারণে ২২ তারিখে আপিল নামঞ্জুর হয়।
এ বিষয়ে তাজউদ্দিন আহম্মদ বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় তিনি নির্বাচন কমিশনে এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যাবেন। মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষরদানকারী নাজমা বেগম ও হান্নান সরদার বলেন, তাদের রাতে বাড়ি ঘেরাও করে ধরে এনে মনোয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুল আলম ছানা বলেন, যা কিছু করা হয়েছে তা উপরের নির্দেশে করা হয়েছে। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারব না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়