সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীরীতি রক্ষায় সজাগ থাকতে হবে সবাইকে

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, এখনো নিখোঁজ অন্তত ২৭ : মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : আ.লীগ পরিবারকে গুলি করে হত্যার হুমকি এসআইর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীতে এক আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আরএমপির চন্দ্রিমা থানার এসআই মো. ফারুকের বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার এমন অভিযোগ করে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পরিবারটি।
ভুক্তভোগীরা হলেন- নগরীর ছোট বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, তার স্ত্রী মোছা. সাজেমা ও ছেলে গোলাম আজম অন্তর।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, পাওনা ৭০ হাজার টাকাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার ছেলে অন্তরকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে এবং জিআই পাইপ ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় বিএনপি-জামায়াতের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা। হামলায় জড়িত ছিলেন ছোট বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার হোসেন মণ্ডল, তার দুই ছেলে মো. হাবিব ও মো. হালিম এবং আব্দুর রাজ্জাকের দুই ছেলে মহিউদ্দিন মহির ও মো. তাবিন। এ সময় আমার স্ত্রী মোছা. সাজেমা ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তার ওপরও হামলা চালানো হয়।
আব্দুল মান্নানের অভিযোগ, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে আপত্তি করে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনও হামলাকারীদের পক্ষে অবস্থান নেন। ফলে পরদিন পাঁচজনের জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও এজাহার পরিবর্তন করে ফেলা হয়। এমনকি গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার ছেলে অন্তর ও ভাতিজাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন চন্দ্রিমা থানার এসআই মো. ফারুক। এ ঘটনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতপূর্বক আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান আব্দুল মান্নান। এদিন সংবাদ সম্মেলনে আহত অবস্থায়ই তার স্ত্রী ও ছেলে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই মো. ফারুক বলেন, আমি ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নই। কোনো হুমকিও আমি দেইনি। আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার ওসি ইমরান আলী বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফারুক নয়, অন্যজন। সুতরাং তিনি হুমকি দেয়ার প্রশ্নই আসে না। ওসি বলেন, মামলায় পাঁচ আসামির তিনজন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। পলাতক রয়েছেন বাকি দুজন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর হামলার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মো. হাবিবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বর বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়