কাগজ ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নিরাপত্তা পরিষদ ‘কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ নেয়নি। জাতিসংঘের ভূমিকা ‘খুবই দুঃখজনক’। মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের জান্তা সরকার কর্তৃক আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়নে কোনো ফলপ্রসূ অগ্রগতি না হওয়ায় মালয়েশিয়া হতাশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়ন আর চলতে পারে না। মিয়ানমারের সামরিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে মালয়েশিয়া। মিয়ানমারের ক্ষমতা থেকে অপসারিত নির্বাচিত রাজনীতিকদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হওয়ার জন্য আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়া। মিয়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুরও জোর দিয়ে আসছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই সংকট মিয়ানমারের লাখ লাখ শরণার্থীর জন্য পরিস্থিতি আরো খারাপ করেছে। এই শরণার্থীদের বেশির ভাগই মুসলিম রোহিঙ্গা; যাদের প্রায় ১০ লাখ এখন বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া ১৯৫১ সালের কনভেনশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব রিফিউজি এবং ১৯৬৭ সালের প্রোটোকলে স্বাক্ষরকারী দেশ না হয়েও কেবল মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।
উল্লেখ্যে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে গত শুক্রবার ভাষণ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন কার্যকর সমাধানের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, এই পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফেরত যায়নি।