করোনা পরিস্থিতি : সংক্রমণের হার ১১.৬০ শতাংশ

আগের সংবাদ

খোলা ছাদে খুশির নিনাদ : মেয়েদের ঘিরে শোভাযাত্রায় লাখো মানুষ

পরের সংবাদ

খাস জমি অধিগ্রহণে কয়েক কোটি টাকার চেক বিতরণ!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রুহুল আমীন খান, ময়মনসিংহ থেকে : ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বাড়েরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জায়গার জন্য সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি ভুল মালিকানার কাগজপত্র দিয়ে অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ফাঁস হওয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
সূত্র জানায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস। এর আগে সদর উপজেলার মধ্য বাড়েরা এলাকার শহীদ নামে এক ব্যক্তি বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর উপজেলার বড়েরা মৌজায় ফায়ার সার্ভিসের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পে এলএ কেইস ০৭/২০১৯-২০ নম্বরে বাড়েরা মৌজায় ৬১৯৭ দাগে ৩৯ শতক সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এই জমির প্রকৃত তথ্য গোপন করে খাস খতিয়ানভুক্ত জমি অধিগ্রহণ করে সরকারের টাকা তছরুপ করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
সূত্র মতে, অধিগ্রহণকৃত এই দাগের ভূমিটি আরওআর রেকর্ডে জেলা প্রশাসকের নামে খাস হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিরা বিআরএস রেকর্ডমূলে অধিগ্রহণের কয়েক কোটি টাকার চেক প্রদান করেন। খাস জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেগুফতা মেহনাজ বলেন, এখানে আমার কোনো ভুল নেই। জমিটি বিআরএস মালিকদের নামে বন্দোবস্ত আছে। তাই তাদের চেক প্রদান করা হয়েছে।
তবে বিআরএস রেকর্ডে ভূমির মালিক চেক গ্রহিতাদের মধ্যে মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, এই জমি বন্দোবস্ত নেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। সিএস মূলে এই জমিটি ১৯৪০ সালের দিকে আমার দাদা ক্রয় করেছিলেন। পরে ভুলে তা জেলা প্রশাসকের নামে আওআর হয়। আমাদের সব কাগজপত্র ঠিক আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. খবিরুল আহসানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. খবিরুল আহসান বলেন, ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো ওই চিঠির কোনো জবাব আমার দফতরে আসেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়