স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল : হামলায় ‘অতি উৎসাহী’ কোন কর্মী জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা

আগের সংবাদ

ফেনীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

পরের সংবাদ

অর্থ আত্মসাৎ : ধারা মাল্টিপারপাসের সভাপতি জালালের ১৭ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রায় দেড় হাজার বিনিয়োগকারীর ৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ধারা মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদকে দুটি ধারায় ১৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে মানিলন্ডারিং আইনের একটি ধারায় ১২ বছর ও আরেক ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। উভয় ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করায় ১২ বছর কারাভোগ করতে হবে তাকে। এর পাশাপাশি ৬০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিতে হবে। গতকাল সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূইঞা এ রায় ঘোষণা করেন। তবে আসামি পলাতক আছেন।
অন্যদিকে, মামলার পলাতক অন্য আসামি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সনাতনকাঠি গ্রামের বাসিন্দা শেখ সামসুর রহমানকে মানিলন্ডারিং আইনের একটি ধারায় ৬ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছেন আদালত।
এরআগে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যসহ মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ধারা মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি জালাল উদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী ও সোসাইটির সহসভাপতি আলেয়া ফাতেমা, ছেলে সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তালহা আহমেদ এবং মেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাদিয়া আহমেদকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়। আর তদন্তে মাধ্যমে শেখ সামসুর রহমানকে অভিযোগভুক্ত করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সেনাবাহিনী থেকে ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর নেন জালাল উদ্দিন আহমেদ।
পরবর্তীতে তিনি ও তার স্ত্রী আলেয়া ফাতেমা ধারা মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় ব্যবসা শুরু করেন। এ সময় তিনি গ্রাহকদের আশ্বাস দেন, মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অনুকূলে এফডিআরের মাধ্যমে টাকা রাখলে কেউ কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। এভাবে তারা ১ হাজার ৪৪৯ বিনিয়োগকারীর মোট ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ টাকা ওই মাল্টিপারপাসের নাম রশিদের মাধ্যমে জমা নেন। কিন্তু ওই সোসাইটির ব্যাংক হিসেবে কোনো অর্থ জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছেলে ও মেয়ের কাছে ওই অর্থ পাচার করেন। পলাতক হন নিজেও। এ মামলায় আদালত ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়