২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু : হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৩

আগের সংবাদ

সমান সুযোগের রূপরেখা নেই : ইসির রোডম্যাপ

পরের সংবাদ

ছাতকে শর্তভঙ্গ করে জলমহাল সাব-লিজ দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : ছাতক উপজেলার জালিয়া ছাতারপই পাগনা বড়বিল জলমহালের ইজারা নিয়ে দুর্নীতিসহ শর্তভঙ্গ করে সাব-লিজ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মিরাশ আলী ও লুৎফুর রহমনে নামে দুই ইজারাদারের বিরুদ্ধে। মো. মোজাক্কির আহমদকে দিয়ে জলমহালে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের পর অংশীদারিত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয় তাকে।
জানা যায়, সোনারতরী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মিরাশ আলী ও লুৎফুর রহমান সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ইজারা বিক্রির ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে গত সোমবার লিখিত অভিযোগ দেন সাব-ইজারাদার মোজাক্কির আহমদ। আরো জানা যায়, মিরাশ আলী ২০১৮ সালে লিজ নেয়ার পর থেকে প্রতি বছর ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মোজাাক্কিরের কাছ থেকে নেন। চলতি বছর ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মৎস্য পোনা, দল, বাঁশ, কাটা স্থাপন, নৌকা, জাল দড়ি, ও পাহারাদারের বেতন বহনের জন্য বিনোয়োগ করান ২০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে সেই টাকা আত্মসাৎ করে অংশীদারিত্ব থেকে বঞ্চিত করে জলমহাল অন্যত্র বিক্রয়ের পাঁয়তারা করেন সমিতির এ দুজন ব্যক্তি।
উপ-ইজারাদার মোজাক্কির আহমদের অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, পাগনা বড়বিল জলমহাল ইজারা গ্রহণের আগেই ইজারা গ্রহিতা দরিদ্র মিরাশ আলী জলমহালে অর্থ বিনিয়োগের জন্য উপ-ইজারা হস্তান্তরের শর্তে মোজাক্কির আহমেদের শরণাপন্ন হন। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষ মোজাক্কির আহমেদ সরল বিশ্বাসে জলমহালে অর্থ বিনিয়োগে সম্মত হন।কিন্তু সরকারিভাবে ইজারা চুক্তির নীতিমালা লঙ্ঘন হবে বিধায় মিরাশ আলী অর্থ বিনিয়োগকারী উপ-ইজারাদার মোজাক্কির আহমেদের সঙ্গে কোনো চুক্তিনামায় উপনীত হতে চাননি। তবে গোটা বিষয়টি যাতে মোজাক্কির আহমেদের বিশ্বাসযোগ্য হয় এবং নখদর্পণে থাকে, সে উদ্দেশ্যে মিরাশ আলী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ইজারা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরসহ সমগ্র বিষয়ে মোজাক্কিরকে সঙ্গে রাখেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জলমহালের ইজারাদার মিরাশ আলী মোজাক্কির আহমদকে উপ-ইজারা দিয়ে প্রতি বছর নগদ অর্থসহ নানাভাবে বিনিয়োগ করিয়েছে বলে জানা গেছে।
মো. মোজাক্কির আহমদ বলেন, মিরাশ আলী ও লুৎফুর রহমান লোভে পড়ে জলমহাল অন্যত্র বিক্রয়ের পাঁয়তারা করেছে। আমার ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনোয়োগ করিয়ে অংশীদারিত্ব থেকে বিতাড়িত করেছে। তিনি আরো বলেন, আমার কাছে দীর্ঘদিনের ফিশারির মাছ ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ রয়েছে। এছাড়াও প্রায় চার বছর ধরে জলমহালে ছাতক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে সমন্বয়ে ফিশারিতে পোনা মাছ অবমুক্ত করার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। তারপরও আমার সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহারে আমি বাধ্য হয়ে সুনামগঞ্জ ডিসি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করি। আর তাতে ডিসি ছাতকের ইউএনওকে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে মিরাশ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি সাব-লিজ মোজাক্কিরকে দিয়েছি। তবে টাকার বিষয়ে অভিযোগ সব সত্য নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়