খন্দকার মোশাররফ : বিএনপিকে নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যাবে না

আগের সংবাদ

দুই সংকটে তৈরি পোশাক খাত : সংকট কাটলে ৮ বছরে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের আশা

পরের সংবাদ

বিল নার্সারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ : রাজবাড়ী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিল নার্সারি প্রকল্পের অর্ধেক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ডহরবিল ও মরডাঙ্গা বিল নার্সারি বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি শওকত আলী মোল্লা ও ছলিম বিশ্বাস জেলা মৎস্য অফিস ও মৎস্য ভবনসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে বিষয়টি তদন্তও করে জেলা মৎস্য অফিস।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন বিলে মাছ চাষ করে থাকে সুবিধাভোগীদের মাধ্যমে। এজন্য রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের মরডাঙ্গা বিল, দাদশী ইউনিয়নের ডহরবিল, আলীপুর ইউনিয়নের নয়াবাদ বিল ও বাটকামারী বিলে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিল নার্সারি প্রকল্পে মাছ চাষ শুরু করে। এজন্য রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে পাঁচ বস্তা খৈল, এক কেজি রেণু পোনা ও একটা ব্যানার দেয়া হয় সুবিধাভোগীদের মাঝে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সব মিলিয়ে ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা। পরবর্তী সময়ে সুবিধাভোগীরা জানতে পারেন প্রতিটি বিল নার্সারি প্রকল্পে ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ এসেছে। বাকি ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকার মালামাল না দিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ সুবিধাভোগীদের। এসব টাকা গত জুন মাসেই মৎস্য কর্মকর্তা উত্তোলন করেছেন। ডহরবিল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি শওকত আলী মোল্লা বলেন, মৎস্য অফিস থেকে পাঁচ বস্তা খৈল, এক কেজি রেণু আর একটা ব্যানার দিয়েছে। যার বাজার মূল্য সব মিলিয়ে ১৬ হাজার টাকার বেশি হবে না। এরপর মৎস্য অফিস থেকে কোনোদিন এসে আমাদের খবর নেয়নি। মাছ বেঁচে আছে না মরে গেছে। আর বাকি টাকার মালামাল চাইতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে। তাই অভিযোগ করেছি আমি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, আমার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ দিয়েছে জানি না। আমরা যে পাঁচ বস্তা খৈল আর রেণু দিয়েছি তার দাম ২৭ হাজার টাকা। আর বাকি ৩ হাজার টাকা আমার কাছে আছে, সেটি পরে দেব বলে ভেবেছি। বিল নার্সারি প্রকল্পে কোনো অনিয়ম হয়নি।রাজবাড়ী জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, বিল নার্সারি প্রকল্পে দুটি অভিযোগ দুজনের কাছ থেকে পেয়েছি। এজন্য সরকারি মৎস্য খামারের ব্যবস্থাপক লতিফুর রহমান খানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। গত সপ্তাহে তদন্ত করেছে। আমি এখনো প্রতিবেদন হাতে পায়নি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়