খন্দকার মোশাররফ : বিএনপিকে নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যাবে না

আগের সংবাদ

দুই সংকটে তৈরি পোশাক খাত : সংকট কাটলে ৮ বছরে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের আশা

পরের সংবাদ

বাউফলে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ভিন্ন রূপ : নৌকা সমর্থকদের কান ধরে ওঠবস করাল কিশোর গ্যাং!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বাউফলের নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের পর বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে নৌকার সমর্থকদের মারধর ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাননি সাংবাদিকরাও। সম্মানহানির ভয়ে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে নৌকার সমর্থকরা।
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পিছিয়ে নেই কিশোর গ্যাং দলও। ভুক্তভোগী রাব্বি, শাওন, রাজ্জাক ও জিসানসহ কয়েকজন কিশোরকে কান ধরে ওঠবস করিয়েছে স্থানীয় তামিমের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং। কান ধরে ওঠবস করার ওই ভিডিও এখন বাউফলে ভাইরাল।
জানা গেছে, তামিমের নেতৃত্বে ওই কিশোররা বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক এবং যাদের কান ধরে ওঠ বস করানো হয়েছে তারা পরাজিত নৌকার সমর্থক।
হামলার শিকার প্রথম আলোর উৎপাদন বিভাগের অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, ‘নির্বাচনের পরদিন বিকালে ছোট ডালিমা ব্রিজের উপর ফুফাতো ভাই সোহাগকে নিয়ে গল্প করছিলাম। এ সময় স্থানীয় সায়েম, শামিম, রাকিব ও বনি আমিন দলবল নিয়ে এসে হঠাৎ আমাকে কিলঘুষি এবং লাথি মারতে থাকে। তারা আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়। মানিব্যাগে ৭ হাজার টাকাসহ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল। এ হামলার ঘটনায় কালাইয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি আমি।’
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানান, এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে। কিশোর গ্যাংদের ধরতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর পরাজিত নৌকার প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুক এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্রেই আমাকে মাত্র ৬৫ ভোটে হারতে হয়েছে। নির্বাচনের পর বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম মহসিনের সমর্থকরা নৌকার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট, মারধরসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তাদের ভয়ে নৌকার সমর্থকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ভয়ে কেউ থানায় অভিযোগও দিতে পারছে না।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়