খন্দকার মোশাররফ : বিএনপিকে নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যাবে না

আগের সংবাদ

দুই সংকটে তৈরি পোশাক খাত : সংকট কাটলে ৮ বছরে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের আশা

পরের সংবাদ

ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড বিতরণে প্রধানমন্ত্রী : তরুণরা উন্নত দেশ গড়ার স্থপতি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যুব সমাজ আমাদের জন্য একটি বড় শক্তি- এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের তরুণ সমাজই হবে সেই ’৪১-এর স্থপতি। গতকাল রবিবার ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন স্বাগত বক্তৃতা করেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জনের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা এবং সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়েছে।
দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে তরুণদের দক্ষ করে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকারপ্রধান বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ এখন বয়োবৃদ্ধদের দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা সেটা হতে চাই না। তরুণ সমাজটা হচ্ছে একটা জাতির জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। সেই সমাজটা শিক্ষায়-দীক্ষায় সব দিক থেকে উচ্চমানের হবে, আমি এটিই চাই। আমাদের এ যুব সমাজই পারবে বাংলাদেশটাকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে। তিনি বলেন, আমাদের যুব সমাজ মানুষের সেবক হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবে, নিজেদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করবে এবং পরিবারকে সহায়তা করবে।
দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর আমাদের লক্ষ্যই ছিল, দেশের যুব সমাজকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তখনকার যুগে কেউ কম্পিউটার শিখতো না, কম্পিউটার ছিলই না। দুই-চারটা অফিসে হয়তো ডেস্কটপ সাজানো থাকতো, কিন্তু কেউ ব্যবহার করত না। আমিই উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে, প্রথমেই প্রযুক্তি শিক্ষা দিতে হবে। ওই সময় বিজ্ঞান বা কারিগরি শিক্ষায় মাত্র ৭ শতাংশ ছেলেমেয়ে সম্পৃক্ত ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিই। কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিই। সেই সঙ্গে সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে যেন যুব সমাজ সম্পৃক্ত হয় তার ব্যবস্থা করি। একই সঙ্গে আমাদের যুব সমাজ বেকারত্বের হাত থেকে যেন মুক্তি পায়, সে জন্য সমাজের সবকিছু আমি বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিই।
শত বাধা অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাবে, এমন প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আজ আমরা উন্নয়শীল দেশের মর্যদা পেয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছি এবং তরুণরাই সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে। পাঁচটি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেলেন ১১ জন : অনুষ্ঠানে সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য পাঁচটি ক্যাটাগরির ১১ জনকে সম্মাননা দেয়া হয়। এর মধ্যে যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান ক্যাটাগরিতে অনন্য অবদানের জন্য এ বছর সম্মাননা পেলেন- শরীয়তপুরের বাসিন্দা মাসুম আলম এবং নেত্রকোনার কামরুন নাহার লিপি। আর শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছেন জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভি রাকসান্দ ধ্রæব এবং পেন ফাউন্ডেশনের মেঘনা খাতুন। দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসিকতার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন রাঙ্গামাটির বাসিন্দা এন কে এম মুন্না তালুকদার এবং

ল²ীপুরের রাজু আহমেদ। সিনিয়রদের প্রতি আদর্শ সেবা বা সমাজকল্যাণে অবদানের জন্য বরিশালের মিল্টন সমাদ্দার এবং সুনামগঞ্জের কাস্মিরুল হক সম্মাননা পেয়েছেন। আর ক্রীড়া, কলা (চারু ও কারু) ও সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শেরপুরের নিগার সুলতানা জ্যোতি এবং রাজশাহীর মোস্তফা সরকার।
এ সময় পুরস্কারপ্রাপ্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, পুরস্কারপ্রাপ্তদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সবাই মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। এভাবে সারাদেশের তরুণ সমাজ এগিয়ে আসুক এটাই আমি চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়