কাগজ প্রতিবেদক : স্বজনরা আবেদন করলেই নির্বাহী আদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আবারো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জাতি) যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের বিচারিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকারের নির্বাহী ক্ষমতায় দেয়া মুক্তি মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের আবেদনের অপেক্ষায় আছি। তারা আবেদন করলে অবশ্যই বাড়বে।’
এর আগে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সব ধরনের মামলাজট কমিয়ে আনা এখন বিচার বিভাগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ এখন শুধু ন্যায়বিচারই চায় না, দ্রুত বিচার চায়। জনগণের এই চাওয়াটাকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে, মূল্য দিতে হবে।
এ সময় বিচারকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, মামলাজটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের আদালতগুলোতে দায়েরকৃত সিভিল মামলার অর্ধেকেরও বেশি ভূমি সম্পর্কিত। অনেক ফৌজদারি মামলার মূলেও রয়েছে ভূমি বিরোধ। এসব মামলার বিচার পাওয়ার জন্য প্রতিদিন লাখ লাখ বিচারপ্রার্থীকে আদালতে ধরনা দিতে হয়। এতে সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে, মূল্যবান কর্মঘণ্টাও নষ্ট হচ্ছে। আমি আশা করব, বিজ্ঞ বিচারকরা এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেবেন এবং জনগণকে দ্রুত ন্যায়বিচার দিয়ে তাদের বিচার পাওয়ার দুর্ভোগ লাঘব করবেন।
খেলাপি ঋণ অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সমৃদ্ধঅর্থনীতির শত্রæ হিসেবে খ্যাত খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায়। কারণ ঋণ খেলাপি মামলাজট দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমাদের ঋণ খেলাপি মামলাজট খুলতে হবে এবং এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে খেলাপি ঋণ বাড়ার লাগাম টানতে হবে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।