৪ বোন চুরি করেই পালাত অন্য জেলায়

আগের সংবাদ

সফরে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারী

পরের সংবাদ

সার নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সার নিয়ে কৃষকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি ‘সার্বিক সার ও সেচ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সভায় কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (স¤প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়–য়াসহ বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিসিআইসির চেয়ারম্যান, সব জেলা প্রশাসক, সারাদেশের মাঠপর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক ও কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকরা সারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তারা জানান, মাঠপর্যায়ে পর্যাপ্ত সার রয়েছে। সারের কোনো সংকট নেই। তবে সারের দাম বাড়বে বলে গুজব ও কোনো কোনো জায়গায় বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে সারের বিষয়ে প্রায়শই গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কৃষকদের মধ্যেও সার মজুতের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সভায় সারের কারসাজি রোধে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কতিপয় নির্দেশনা দেয়া হয়। এগুলো হলো- রশিদ ছাড়া যেন সার বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করা। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে লালসালুতে বা ডিজিটালি সারের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখা নিশ্চিত করা। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিত করা। কৃষককে যেন লাইনে দাঁড়িয়ে স্লিপ দিয়ে সার কিনতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্দেশনায় আরো বলা হয়, ডিলারের গুদাম ভিজিট করে সারের অ্যারাইভাল নিশ্চিত করতে হবে ও ট্রাক চালানের সঙ্গে তা যাচাই করে দেখতে হবে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি বিভাগ নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সার বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গেই বিসিআইসি থেকে সার উত্তোলনের অনুমতি দেয়ার জন্য বিসিআইসি চেয়ারম্যানকে পরামর্শ দেয়া হয়। সভায় জানানো হয়, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে (৭ সেপ্টেম্বর) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৪১ হাজার টন, টিএসপি ৪ লাখ ১৫ হাজার টন, ডিএপি ৯ লাখ ৪ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৪৬ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুদের বিপরীতে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৩ লাখ ৫০ হাজার টন, টিএসপি ৯৬ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ১৯ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ২১ হাজার টন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়