৪ বোন চুরি করেই পালাত অন্য জেলায়

আগের সংবাদ

সফরে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারী

পরের সংবাদ

শিক্ষিতরাই পারে নিরক্ষরতা দূর করতে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অক্ষর জ্ঞানের অভাবকে নিরক্ষরতা বলে। নিরক্ষরতা একটা অভিশাপ। কেননা নিরক্ষর মানুষ চোখ থাকতেও অন্ধ। তার সামনে মুক্তা সমতুল্য জ্ঞানের ভাণ্ডার থাকলেও সে আহরণ করতে পারে না। তাই আমরা চাই নিরক্ষরতামুক্ত মানুষ। ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের ১৪তম অধিবেশনে ৮ সেপ্টেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপিত হয়। দিবসটির লক্ষ্য ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং সমাজের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরা। বর্তমানে জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্র এ দিবসটি উদযাপন করে থাকে। বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হয়।
এ দিবসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকার, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে। সরকারকে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গঠনে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
সরকারের পাশাপাশি আমাদের শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যারা শিক্ষিত তারা প্রায়ই ভুলে যাই নিরক্ষর মানুষদের অক্ষর-জ্ঞান প্রদান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নিরক্ষরতামুক্ত সমাজ গড়তে শিক্ষিত সমাজকে কিছু কর্মসূচি পালন করতে হবে। যেমন- প্রত্যেক শিক্ষিত কর্তৃক কমপক্ষে একজন নিরক্ষরকে অক্ষর-জ্ঞান প্রদান। পথশিশু ও নিরক্ষরদের মাঝে খাতা-কলম, বই ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা। বয়স্কদের মাঝে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা। নিরক্ষরদের অক্ষর-জ্ঞান প্রদানের জন্য শিক্ষিত সমাজকে উদ্বুদ্ধ করা। পোস্টারিং ও দেয়াল লিখন। অনগ্রসর এলাকায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা।
নিরক্ষর মানুষ রাষ্ট্র কর্তৃক সংরক্ষিত অধিকারগুলোর সুযোগ-সুবিধা নিতে পারে না, কারণ অধিকার সম্পর্কে তারা অসচেতন। দারিদ্র্য নিরক্ষর মানুষের নিত্যসঙ্গী। যারা নিজের নাম স্বাক্ষর করতে অক্ষম, বুড়ো আঙুলের ছাপ দিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। এই যুগে এসে স্বাক্ষরের স্থানে হাতের টিপসই দিতে হয়। যার ফলে অফিস-আদালতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যদি একজন নিরক্ষর লোককেও অক্ষর জ্ঞান দিতে পারি তাহলে ধীরে ধীরে নিরক্ষরমুক্ত হবে আমাদের সোনার বাংলা। তাই ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আমরা শিক্ষিত প্রত্যেকেই একটি কর্মসূচি গ্রহণ করি। একজন হলেও নিরক্ষরতা নামক অভিশাপ থেকে মুক্ত করব।

মো. জুবায়ের
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
mdjubaer4848@gmail

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়