৪ বোন চুরি করেই পালাত অন্য জেলায়

আগের সংবাদ

সফরে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারী

পরের সংবাদ

মানিকগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস : অফিসের সময় কমলেও কমেনি সেবা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান, মানিকগঞ্জ থেকে ফিরে : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় এবং যানজট নিরসনে কমিয়ে আনা হয়েছে সরকারি অফিসের সময়। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্তই কার্যক্রম পরিচালনা করছে মানিকগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস। একদিকে অফিসের কর্মঘণ্টা কম, অন্যদিকে জনবল সংকট রয়েছে অফিসটিতে। তবুও পাসপোর্ট সেবায় প্রভাব পড়েনি একটুও। আগের মতোই সমসংখ্যক পাসপোর্ট আবেদন পড়ছে। সেগুলোর এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করা হচ্ছে যথাসময়ে। পাসপোর্ট সরবরাহেও কোনো ব্যত্যয় ঘটছে। সরজমিনে মানিকগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জনবল সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করছেন মানিকগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস। মূলত পাসপোর্ট করতে যারাই আসছেন তাদের সবার কাজই সম্পন্ন করে কর্মস্থল ত্যাগ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রায় প্রতিদিন এখানে ২০০’র বেশি আবেদনকারী পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট করতে আসেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০টি আবেদন আসে বড় ধরনের তথ্য পরিবর্তন ও ৮-১০টি আবেদন আসে পূর্বের পাসপোর্টে দেয়া তথ্য গোপন করে। এই ধরনের আবেদন অপারেটররা বারকোড কম্পিউটারে স্ক্যান করা মাত্রই তার গোপনীয় তথ্য সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে। তখনই চলে আসে সময়ক্ষেপণের পালা। এইসব সমস্যার কারণে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময়মতো অফিসের কাজ শেষ করতে পারেন না বলেও জানা গেছে।
প্রতিমাসে কতগুলো আবেদনের তদন্ত আসে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের এখানে মাসে প্রায় এক-দেড় হাজার পাসপোর্টের তদন্তের আবেদন আসে। আমরা সবসময় তাদের প্রয়োজনীতার কথা মাথায় রেখে সময়মতো প্রতিবেদন দাখিল করি। যাতে তারা তাদের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করতে পারেন।
ভূমিহীন পাসপোর্ট আবেদনকারীদের তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোনো পাসপোর্ট আবেদনের তদন্ত আসেনি। তবে সব বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট পাওয়া তার নাগরিক অধিকার। বাংলাদেশি হলে অবশ্যই আবেদনে দেয়া ঠিকানায় তদন্ত সাপেক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রতিবেদন তার পক্ষে দেয়া যেতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
জনবল সংকটে কীভাবে কাজ করছেন জানতে চাইলে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস (আরপিও) মানিকগঞ্জের সহকারী পরিচালক নাহিদ নেওয়াজ ভোরের কাগজকে বলেন, আমার এখানে পর্যাপ্ত

লোকবল না থাকায় আমাদের সবাইকে অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করতে হয়। আমরা নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসি। কিন্তু আবেদনকারীর কাজ শেষ না করে আমরা কেউ বের হতে পারি না। বিদেশ গমনে যেহেতু কেউ পাসপোর্ট ছাড়া যেতে পারেন না, সেহেতু এই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই প্রতিদিন কাজ করি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে লোকবল বৃদ্ধি করা হলে গ্রাহকদের আরো বেশি সহজে সেবা নিশ্চিত সম্ভব বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়