এশিয়া কাপ : হংকংকে লজ্জায় ডুবিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আগের সংবাদ

বন্ধুত্ব সুসংহত করার প্রত্যয় : বাংলাদেশে চীনা বলয় ঠেকাতে চায় দিল্লি > পানিসহ সীমান্ত সুরক্ষায় সমাধান চায় ঢাকা

পরের সংবাদ

আলোচনা সভায় বক্তারা : নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সিডও সনদ বাস্তবায়ন জরুরি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিগত ৩৭ বছরে সরকারের বিভিন্ন দল দেশ পরিচালনা করেছে। কিন্তু নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) বাস্তবায়নে সংরক্ষণ অব্যাহত রেখেছে, যা নারী-পুরুষের সমতা, নারী ক্ষমতায়নের পরিপন্থি। অথচ আফগানিস্তান, কুয়েত, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করে অগ্রযাত্রার পথ সুগম করতে হলে সিডও সনদ বাস্তবায়ন আজ জরুরি।
গতকাল শনিবার জাতিসংঘ সিডও কমিটির সমাপনী মন্তব্য (২০১৬) : বাস্তবায়ন পর্যালোচনাবিষয়ক কনসালটেশন সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সিডও দিবস উপলক্ষে বিকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত এ সভা অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। বক্তব্য রাখেন ইউএন উইমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ গীতাঞ্জলি সিং, ইউএন সিডও কমিটির সাবেক সদস্য ফেরদৌস আরা বেগম, দৈনিক সমকাল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, কেয়ার বাংলাদেশের উইমেন এন্ড গার্লস এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক হোমায়রা আজিজ, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী ফাল্গুনী ত্রিপুরা।
ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, সিডও সনদের সঙ্গে রাষ্ট্রের সমঝোতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। সিডও সনদকে আইন হিসেবে নিতে হবে। বিগত ৩৭ বছরে সরকারের বিভিন্ন দল দেশ পরিচালনা করছে কিন্তু সিডও সনদ বাস্তবায়নে সংরক্ষণ অব্যাহত রেখেছে, যা নারী-পুরুষের সমতা, নারী ক্ষমতায়নের পরিপন্থি। গীতাঞ্জলি সিং বলেন, বিশ্বজুড়ে জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নকে গুরুত্ব দিয়ে নানা কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। এতে নারীর অগ্রগতি ত্বরান্বিত হচ্ছে। কিন্তু গেøাবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট অনুসারে এখনো সমতা প্রতিষ্ঠায় নানা বৈষম্য আছে।
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, সিডও সনদ সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার সম্পূরক হিসেবে স্বীকৃত হলেও এই সনদ বাস্তবায়নে এখনো চ্যালেঞ্জ আছে। সরকার কর্তৃক নারীবান্ধব নানা পদক্ষেপ নিলেও সিডও সনদের ২নং ধারা অনুমোদনের কোনো পদক্ষেপ নেই। সিডওকে এখনো নারীর জন্য কল্যাণমূলক অ্যাপ্রোচ হিসেবেই দেখা হচ্ছে অধিকার হিসেবে নয়।
মালেকা বানু বলেন, সরকার প্রতিশ্রæতিবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও সিডও প্রতিবেদনে সংরক্ষণ প্রত্যাহারে সরকারের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায় না। তিনি সনদের সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে পূর্ণ অনুমোদনের জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপর জোর দেন। রোকেয়া কবীর বলেন, পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা, বৈষম্যমূলক নীতি পরিহার করে ন্যায্যতা, সমতা প্রতিষ্ঠায় সিডও দলিল হলো একটা হাতিয়ার। শিক্ষার মাধ্যমে সমাজকে প্রস্তুত করতে হবে।
ফারাহ কবীর বলেন, নারীকে রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বাড়াতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সংখ্যা বাড়ালে হবে না, গুণগত দিকের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এমন এক সময় সিডও রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে যখন বিশ্বজুড়ে পিতৃতান্ত্রিকতা, নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য চরমে। সিডও প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে ইউএন সংস্থাগুলোকে কাজ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়