কাগজ ডেস্ক : কাতারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রীড়া জগতের সবচেযে বড় আয়োজন ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২। আর মাত্র ৮০ দিন পরই পর্দা উঠবে ২২তম বিশ্বকাপের। ফুটবলের সর্বোচ্চ শিরোপার জন্য ৩২ দলের লড়াই শুরু হবে ৮ স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে নান দিক থেকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে কাতারকে। বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর গ্যালারিতে বসে যারা সরাসরি দেখতে ইচ্ছুক তাদের জন্য তৈরি করছে উন্নতমানের আবাসিক হোটেল।
এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়নেও বেশ নজর দিয়েছে দেশটি। বিশ্বকাপের অংশগ্রহণের করতে যাওয়া ফুটবল ভক্তদের কীভাবে সব রকমের সেবা সহজে দেয়া যায়, সেজন্য নেয়া হচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ।
বিশ্বকাপ দেখার জন্য টিকিটধারীদের জন্য এবার নতুন সেবা নিয়ে এসেছে কাতার। খেলা দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দর্শকদের থাকার জন্য হোটেলবা বাসস্থান বুকিংয়ের জন্য ইতোমধ্যে ওয়েবসাইট চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বিশ্বকাপে আগত দর্শকদের জন্য চালু করা হয়েছে ‘কাতার হায়া কার্ড প্রোগ্রাম’। কাতার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের টিকেট কেনার পর, দর্শকদের এই হায়া কার্ডের জন্য অবশ্যই আবেদন করতে হবে। কাতার বিশ্বকাপের যেকোনো ম্যাচ দেখতে হলে হায়া কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। এই হায়া কার্ড ম্যাচের দিন টিকেটধারীদের বিনামূল্যে গণপরিবহন ব্যবহারসহ আরো বিভিন্নরকম সুবিধা প্রদান করবে।
আন্তর্জাতিক দর্শকদের জন্য কাতারে এন্ট্রি পারমিট হিসেবে কাজ করবে এই হায়া কার্ড। হায়া কার্ডের আবেদন কীভাবে করবে সেদিকেও বেশ লক্ষ্য রেখেছে কাতার। আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ‘হায়া টু কাটার ২০২২’ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হয়েছে। বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকেটধারীরা এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে হায়া কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দর্শকরা এখন থেকে ‘হোস্ট কান্ট্রি একোমোডেশন পোর্টাল’ এর মাধ্যমে বাসস্থান বুক করতে পারবেন। এটির মাধ্যমে দর্শকরা অ্যাপার্টমেন্ট, ভিলা ও প্রমোদতরীসহ নানা জায়গায় নিজেদের থাকার জন্য কেবিন বুক করতে পারবেন। এছাড়া দর্শকরা চাইলে হোটেল ও বিভিন্ন আবাসন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হোটেল বা বাসস্থান বুক করতে পারবেন। অন্যদিকে, বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতারে বিবিন্ন রেন্ট-এ কার ও লিমুজিন কোম্পানিগুলো ব্যবসা বাড়িয়ে বাড়তি লাভের আশায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশ্বকাপের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোম্পানিগুলো ব্যবসায় উন্নতি ও মোটা অঙ্কের লাভ অর্জন করতে চায়। এটিকে বিশেষ আকর্ষণীয় সুযোগ হিসেবে দেখছেন কোম্পানিগুলোর মালিকরা। কাতারে বর্তমানে প্রায় এক হাজারের মতো লিমুজিন কোম্পানি আছে। এগুলোর মধ্যে বেশকিছু কোম্পানি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠা করেছেন। লিমুজিন চালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি। ফলে খেরা দেখতে আসা লাখ লাখ দর্শককে বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে আকৃষ্ট করতে চায় রেন্ট-এ কার ও লিমুজিন কোম্পানিগুলো। পাশাপাশি বিশ্বকাপে যারা বন্ধু ও পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্যও বিভিন্ন রকম অফার থাকবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।