বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনোয়ারি কবিরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর সরকার

পরের সংবাদ

জ্বালানি তেলের দাম কমল : কেরোসিন ডিজেল পেট্রোল অকটেনের দাম কমেছে লিটারে ৫ টাকা, প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২২ , ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাজারে উত্তাপ ছড়িয়ে অবশেষে কমল সব ধরনের জ¦ালানি তেলের দাম। বিশ্ববাজারে ফের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যেই কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের দাম কমানো হয়েছে লিটারে ৫ টাকা। উৎসে আয়কর ২ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর পর থেকে তেলের দাম সমন্বয়ের যে উদ্যোগ নেয় সরকার, গতকাল সোমবার তা কার্যকর হয়েছে। এ বিষয়ে রাতেই প্রজ্ঞাপন জারি করে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
জ¦ালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, শুল্ক কমানোয় লিটারে খরচ কমেছে এক টাকা ৯০ পয়সা। দাম কমানো হয়েছে ৫ টাকা। বিশ্ববাজারে দাম চড়া থাকায় বিপিসিকে ভর্তুকি দিতে হবে। তবে বিশ্ববাজারে দাম কমলে আবার সমন্বয় করা হবে।
এদিকে জ¦ালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হলে মাঠ পর্যায়ে সুফল পৌঁছাবে কিনা, দাম বাড়ার পর যেসব সেবা ও পণ্যের দাম বেড়েছে, তা কবে নাগাদ এবং কতটুকু কমবে, আমদানি ব্যয় কমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কমানো হবে কিনা- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জ¦ালানি বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাত ১২টার পর থেকে ডিজেল, পেট্রোল, কেরোসিন ও অকটেনের দাম বাড়ানো হয়। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমানোর পর এখন ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকায় বিক্রি হবে।
এদিকে জ¦ালানি তেলের দাম সমন্বয় করার পর মাঠ পর্যায়ে সুফল পৌঁছাবে কিনা, দাম কবে নাগাদ এবং কতটুকু কমবে, আমদানি ব্যয় হ্রাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তেলের দাম কমানো হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জ¦ালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। বাস-লঞ্চের পাশাপাশি মালামাল পরিবহনেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পণ্য পরিবহন বেড়ে যাওয়ায় বাজার ঊর্ধŸমুখী, মানুষ দিশাহারা। মূল্যস্ফীতির হারও বেড়েছে।
এ প্রসঙ্গে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকার ভ্যাট ও ট্যাক্স কমিয়েছে। ডিজেলের দাম কমানো হয়েছে। এখন গ্রাহক পর্যায়ে এর সুফল নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ¦ালানি তেলের মধ্যে ডিজেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। মোট জ¦ালানি তেলের ৭৩ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হয়। বাস, ট্রাক, পিকআপ, লঞ্চসহ পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত সব পরিবহনই ডিজেলে চলে। ডিজেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভাড়া বেড়েছে। পণ্য ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে আদায় করে নিচ্ছে। এতে সব জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে। নিয়ন্ত্রণহীন দামের কারণে মানুষ এখন দিশাহারা। এই অবস্থায় ভ্যাট ও শুল্কে ছাড় দেয়া খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। দ্রুত জ¦ালানি তেলের দাম কমানো ভালো সিদ্ধান্ত। তবে দাম কমানোর পর জীবনযাত্রার সব ক্ষেত্রে এর সুফল দিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষ সুফল পাবে না।
এ প্রসঙ্গে ক্যাবের জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, সরকার জ¦ালানি তেলের দাম কমিয়েছে। জ¦ালানি মন্ত্রণালয় নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে নিয়েছে, আবার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে- বিইআরসিতে গণশুনানির জন্য আসেনি। এখন দাম কমানোর ক্ষেত্রে যতটুকু ন্যায্যভাবে কমানোর দরকার তা কমিয়েছে কিনা- সেই আস্থা ভোক্তাদের নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়