নন্দীগ্রামে টিসিবি ডিলারের ১ লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শেখ হাসিনা ভারত যাচ্ছেন ৫ সেপ্টেম্বর, ঢাকা ও দিল্লিতে প্রস্তুতির তোড়জোড় : ফলপ্রসূ সফর চায় দুই দেশই

পরের সংবাদ

শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর দুদেশের অগ্রগতির জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রায় তিন বছর পর আবার রাষ্ট্রীয় সফরে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফর ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। মোদি সরকারও এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাইছে। কারণ পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঢাকাকে নিজেদের সবচেয়ে ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। ৬ সেপ্টেম্বর দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক ও প্রতিনিধি দল পর্যায়ের বৈঠক হবে। শেখ হাসিনা পরের দিন অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের মতো প্রধান বণিকসভায় ভাষণ দেবেন। ভারতের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে কীভাবে উভয়পক্ষই উপকৃত হতে পারে, সেই চিত্রই সেখানে তুলে ধরবেন তিনি। পরদিন আজমির শরিফ হয়ে ঢাকায় ফিরবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফর এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? বাংলাদেশে যে সাময়িক বিদ্যুৎ সংকট তা কাটতে চলেছে কারণ তার এই ভারত সফরে উদ্বোধন হতে চলেছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প ‘মৈত্রী’র। বাংলাদেশ সরকারের তরফে যথেষ্ট ‘চাপ’ থাকা সত্ত্বেও তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি রূপায়ণ করা যায়নি মূলত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে। এবার তার পুরোটা না হলেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। বাংলাদেশে গমের চাহিদা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে গম রপ্তানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে মোদি সরকার। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের আগে এটাই শেষবারের মতো তার ভারতে যাওয়া। ফলে ভারত শেখ হাসিনাকে কিছুতেই খালি হাতে ফেরাবে না। শেখ হাসিনার এবারের সফরে দুদেশের মধ্যে ‘সেপা’ (কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট) নামক বাণিজ্য চুক্তিটি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিজে এই চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন। এখন শুধু এ বিষয়ে ভারতের রাজি হওয়ার অপেক্ষা। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শত শত পণ্যের অবাধ ও শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের জন্য এটিকে একটি ‘ল্যান্ডমার্ক’ বা যুগান্তকারী সমঝোতা বলে গণ্য করা হচ্ছে। এটা হলে যৌথ টেস্টিং সার্ভিস, ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু হবে। এতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বর্তমান (প্রায় ১.২৮ বিলিয়ন ডলার) রপ্তানি আয়ের বাইরে আরো ৩-৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। সেপা চুক্তি স্বাক্ষরের পর বাণিজ্য বাধাগুলো দূর হয়ে গেলে পাল্টে যাবে বাংলাদেশের আমদানি চিত্রও। ভারতের বেশিরভাগ পণ্য ও সেবা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে সহনীয় বলে এবং পরিবহন খরচ কম ও সময় সাশ্রয়ের কারণে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা একই পণ্যের জন্য দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোর বদলে ভারতমুখী হবে। তখন ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান ৭ বিলিয়ন ডলারের আমদানি আরো ৪-৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে যাবে।
শেখ হাসিনার সফরের আগে গত ২৫ আগস্ট দিল্লিতে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ আগস্ট হয় জেআরসির সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে মনু, ধরলা, খোয়াই, মুহুরি, গোমতী ও দুধকুমার নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। এতে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহার নিয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চূড়ান্ত করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। সিলেটে ৫ হাজার একর জমি চাষাবাদের সুবিধার জন্য কুশিয়ারার পানি ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ। এ জন্য অভিন্ন নদীর পানি প্রত্যাহারে ভারতের অনুমতির প্রয়োজন হবে। এছাড়া গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। এই অভিন্ন নদীর পানি সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের জন্য একটি যৌথ সমীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। একযুগেরও বেশি সময় পর দিল্লিতে বসছে দুদেশের জয়েন্ট রিভার্স কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক। দুদেশের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগি বা পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জেআরসি যে বিষয়গুলোতে একমত হবে, সেগুলো দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে পূর্ণতা পাবে। এবারে প্রশ্ন- তিস্তাচুক্তি আটকে রাখা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কি শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় রাজধানীতে এসে তার সঙ্গে দেখা করবেন? ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মমাফিক আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন। নাহ, তিনি যাচ্ছেন না। অর্থনৈতিক দুর্নীতির অনুসন্ধানে তার একের পর এক নেতা ধরা পড়ছেন। অভিযোগের আঙুল তার দিকেও উঠছে। এই অবস্থায় তিনি যাবেন বলে মনে হয় না। এদিকে শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের আলোচিত বক্তব্য ভারতকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছে। ২০১৪ সালের বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন বিতর্কিত হলেও আন্তর্জাতিক চাপকে সামাল দিতে ভারত জোরালো ভূমিকা পালন করেছিল একথা সত্যি। কিন্তু তারপর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলায়নি ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ভারতের অভ্যন্তরে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যা তাদের পক্ষে অস্বস্তিকর। যদিও আওয়ামী লীগ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যের কোনো দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এদিকে ভারত সফরের আগে জন্মাষ্টমীতে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘নিজেদের সংখ্যালঘু ভাববেন না। বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার।’ বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার নিয়ে ভারতের সব সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষুব্ধ। কাজেই এই অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে শেখ হাসিনাকে পড়তে হতে পারে।
সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে চীনের কাছে প্রায় মাথা বিক্রি করেছে। কয়েক বছর আগেও যে দেশের মানবোন্নয়ন সূচকের উদাহরণ দেয়া হত, তার এমন অবস্থা কী করে হলো? শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির একটা বড় দিক হলো পর্যটন শিল্প। কোভিডের ধাক্কায় তার অবস্থা ভয়াবহ। অন্যদিকে রয়েছে নীতিনির্ধারকদের অপরিণামদর্শিতা। ঋণ করে দেশ চালানোর অভ্যাস করে ফেলেছিলেন সে দেশের শাসকরা। তা-ও চড়া সুদে স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্যিক ঋণ। এদিকে ভুটানের বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে টান পড়ছে। কমে আসছে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ। আর এর ফলে চীন-ভারতের মাঝে থাকা এই দেশ শিগগিরই অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ভুটানের হাতে ১১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, এক ধাক্কায় তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৫২ কোটিতে। আট লাখেরও কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট এই দেশের অর্থনীতি অনেকটাই দাঁড়িয়ে আছে পর্যটন শিল্পের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু কড়া কোভিড বিধির কারণে অতিমারি আবহ থেকেই প্রায় পর্যটনশূন্য ভুটান। একই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গম এবং তেলের দাম বৃদ্ধি করার কারণেও সে দেশের একাংশ সংকটের মুখে পড়েছে। আবার পাকিস্তানে মুদ্রার বিপুল মূল্যহ্রাস, প্রথমে ইমরান এবং পরে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সরকারের ত্রæটিপূর্ণ নীতির কারণে, দেশের ঋণ গিয়ে পৌঁছেছে ৬০ লাখ কোটি পাকিস্তানি রুপিতে। এখানেই শেষ নয়। পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারের অবস্থাও তথৈবচ। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ৫ সপ্তাহে ২০০ কোটি আমেরিকান ডলারের বেশি হ্রাস পেয়েছে এই ভাণ্ডার। তারই মাঝে নেপালে নতুন করে আর্থিক সংকট উঠে আসার উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ পড়ে যায় ৯.৭৫ বিলিয়নে। গত বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝির তুলনায় তা ১৭ শতাংশের পতনের মুখ দেখে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ২০২১ আর্থিক বছরে নেপাল সরকারের ঋণ ৪১.৪ শতাংশ বেড়ে যায় জিডিপির নিরিখে। যা ২০১৬, ২০১৯ সালে গড়ে ২৫.১ শতাংশ ছিল। পার্শ্ববর্তী মিয়ানামার এখন পরোপুরি চীনের কব্জায়। রোহিঙ্গা প্রশ্নে রাষ্ট্রপুঞ্জে মিয়ানমারকে বারবার সমর্থন করেছে চীন। স্টকহলম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে- ২০১৩ সাল থেকে মিয়ানমারের ৬৮ শতাংশ অস্ত্রের আমদানি হয়েছে চীন থেকে। মিয়ানমারকে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহে চীন এবার দোসর করেছে পাকিস্তানকে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কী করেছে? মাত্র কয়েকদিন আগে চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকায় এসে নানাবিধ সাহায্যের জন্য অনুরোধ করার পরও নতুন করে বেইজিংয়ের কাছ থেকে কোনো ঋণ নিল না শেখ হাসিনার সরকার। তার মানে কি বাংলাদেশের ঋণের প্রয়োজন নেই? আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের কাছে ৪১৬ কোটি ডলার সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও গ্যাস, যন্ত্র ও পণ্যের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের রিজার্ভের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করেছে। সেই চাপ সামলাতেই আইএমএফ দাতা সংস্থাগুলোর দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫.৫ বিলিয়ন থাকলেও জুলাই মাসের ২০ তারিখ নাগাদ সেটা ৩৭.৬৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস, খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি অনেক বেড়েছে। ফলে দেশীয় বাজারে ডলারের চরম সংকট তৈরি হয়ছে। জুলাই ২০২১ থেকে মে ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি তৈরি হয়েছে ১৭.২ বিলিয়ন, যা আগের বছরের ওই সময়ে ছিল মাত্র ২.৭৮ বিলিয়ন ডলার। গত এক দশক ধরে ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়ে এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ। কারণ এই সময়ে রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি- দুটোই কম বেশি ভালো করেছে। কিন্তু এখন বিশ্বে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার কারণে রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রপ্তানি ভালো হলেও আমদানি যে হারে বেড়েছে তাতে, ব্যালেন্স অব পেমেন্টে একটা চাপ তৈরি করেছে। কিন্তু চীনা বিদেশমন্ত্রীর সাম্প্রতিক এই ‘অ্যাগ্রেসিভ ট্যুর’-এ্র মতলব ভালো করে বুঝেই শেখ হাসিনা তাকে অর্ধচন্দ্র দানপূর্বক বিদায় দিয়েছেন। কিন্তু ভাবীকালের ললাট লিখন তিনি পড়তে পারছেন। বাংলাদেশের অবকাঠামোর উন্নতি ঘটছে দ্রুত। এবার পালা বিভিন্ন শিল্প স্থাপন। সেক্ষেত্রে দ্রুত ও সস্তায় কাঁচামাল ও প্রযুক্তিগত সাহায্য পাওয়ার জন্য ভারতের এমন কিছু আর্থিক চুক্তি করতে হবে, যা সমমর্যাদার অর্থাৎ অর্থনীতির ভাষায় ডলারনির্ভর নয়। ক্রমেই সেদিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত, শুধু এই মুহূর্তে প্রয়োজন দুদেশের নেতা-মন্ত্রীদের বাকসংযম।

অমিত গোস্বামী : কবি ও লেখক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়