ব্যবসায়ীদের জরিমানা

আগের সংবাদ

নাগালের বাইরে ওষুধের দামও

পরের সংবাদ

অপরিকল্পিত উন্নয়ন-ঝুঁকিতে ইবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্নে তেমন সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও দিনে দিনে বেড়েছে এর পরিসর। ক্রমে চালু করা হয়েছে নতুন বিভাগ। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩৬টি বিভাগের অধীনে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই খুব দক্ষতার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা ও একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ছাত্রদের দুটি ১০ তলাবিশিষ্ট আবাসিক হল ও ছাত্রীদের দুটি ১০ তলাবিশিষ্ট আবাসিক হল তৈরির কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও একাডেমিক ভবনগুলো বর্ধিত করাসহ নতুন নতুন একাডেমিক ভবনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বহুতল এই ভবনগুলো নির্মাণে অনুসরণ করা হচ্ছে না জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা। এই বিধিমালা অনুসারে নির্মাণাধীন ভবনের চারপাশে নাইলনের জাল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। নির্মাণসামগ্রী যেন পড়ে না যায়, সেজন্য বাইরের দেয়ালে নিরাপত্তামূলক মাচা রাখতে হবে। এছাড়া ভবনের চারপাশে নোটিস বোর্ডে পর্যাপ্ত বিপদের চিহ্ন অথবা রঙিন আলো দিয়ে বিপদ চেনার ব্যবস্থা করতে হবে। বিধি অনুসারে, নিরাপত্তার এসব ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন ভবন মালিক বা নির্মাণপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু ইবিতে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে এর কোনোটিই অনুসৃত হচ্ছে না। বর্ধিত ভবনগুলোর প্রতিটিতেই একাডেমিক কার্যক্রম বিদ্যমান। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যাওয়া আসা করছে। নির্মাণাধীন ভবন থেকে নির্মাণসামগ্রী পড়ে যেকোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে পথচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ভবনগুলো বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
করোনাকালীন নির্মাণাধীন ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের নিহত হওয়ার খবর আমরা জানি। এর পরও ইবি প্রশাসন নির্বাক হয়ে বসে আছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ইবি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বারবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। আমরা কেউই চাই না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির জন্য কোনো শিক্ষার্থীর জীবন চলে যাক। আমরা এটাও চাই না- কোনো শ্রমিক আর দুর্ঘটনার শিকার হোক। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটাই চাওয়া- এই সমস্যা সমাধানে এবার প্রশাসন সুনজর দিক।

মো. তুহিন বাবু
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়