কিউআর কোডযুক্ত : ২ লাখ রিকশার নিবন্ধন দেবে ডিএনসিসি

আগের সংবাদ

সড়কে যেন অনিয়মই নিয়ম : মালিক-শ্রমিকদের বাধায় আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি

পরের সংবাদ

ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ : ওসিসহ ৩৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা, হরতাল প্রত্যাহার

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এইচ এম নাহিদ, ভোলা থেকে : ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩৬ জন পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে ভোলা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুুপুরে ভোলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালতে নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পোস্টমর্টেম রিপোর্টসহ সব কাগজপত্র জমাদানের নির্দেশ দিয়েছেন ভোলা সদর থানাকে। ওই দিনই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহতের ঘটনায় সকাল-সন্ধ্যা ডাকা হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম নবী আলমগীর জানান, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আসা দলের শীর্ষ নেতারা সংবাদ সম্মেলন করেন।
বিএনপির ডাকা হরতালে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোলা শহরে কোনো দোকানপাট খুলতে দেখা যায়নি। এ সময় যাত্রীবাহী যান চলাচলও বন্ধ ছিল। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের রাস্তায় থেকে থেকে বিক্ষোভ করেন।
গত বুধবার দুপুরে ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর খবরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ভোলা। বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন। বিএনপি সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় নেতাদের জানাজায় অংশগ্রহণ, জানাজায় মানুষের সম্পৃক্ততা এবং

জনস্বার্থে তারা আধা বেলা পালনের পর হরতাল প্রত্যাহার করে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পুলিশের গুলিতে আব্দুর রহিম ও নুরে আলমের মৃত্যুর তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিনা উসকানিতে নির্বিচারে গুলি করে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করে যে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে তা কখনো ভোলার মানুষ ভুলবে না। তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ৩১ জুলাই বিএনপি কর্মীদের তাজা রক্তে হাত রঞ্জিত করে শেখ হাসিনার সরকার আগস্টে শোকের মাস পালন করছে। তারা পুলিশ বাহিনী দিয়ে মানুষ খুন করে এখন আবার বিএনপির ওপর দোষারোপ করে বলছে, বিএনপি নাকি শোকের মাস আসলেই দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম বলেন, কোন পরিস্থিতিতে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড পুলিশ ঘটিয়েছে, তা আমরা খুঁজে বের করব। আমরা আগামীতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করে বিগত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করব।
সংবাদ সম্মেলনের পর বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল নুরে আলম ও আব্দুর রহিমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তাদের আর্থিক অনুদান দেন।
এদিকে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজায় অংশ নেন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়