ডাকসু নির্বাচন ঘিরে পদাবনতি : স্বপদে ফিরছেন ঢাবি শিক্ষক শবনম

আগের সংবাদ

ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহীর মৃত্যু, দায় কার : গেটম্যানের অনুপস্থিতি নাকি মাইক্রোবাস চালকের অবহেলা > গেটম্যান নাজিম আটক

পরের সংবাদ

বিস্ফোরণে ৩ ভাইয়ের মৃত্যু : মামলা হয়নি তিন দিনেও, দুই লাখ টাকায় রফা

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২২ , ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ

সৈয়দ মনির, ফেনী থেকে : ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিন ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিন দিনেও মামলা হয়নি। কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকেও। পুলিশের ভাষ্য, ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ না দেয়ায় পুলিশের কিছুই করার নেই। তবে ২ লাখ টাকায় দফারফার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, অভিযোগ দিয়ে লাভ নেই। বাগেরহাট থেকে ফেনী এসে মামলা চালানোর মতো সামর্থ্য নেই তাদের।
জানা যায়, ফেনী শহরের নাজির রোডের বাসিন্দা রুহুল আমিনের নির্মাণাধীন একটি ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের ফুলহাতা গ্রামের ছৈয়দ আলী মুন্সির ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্সী (৫২), মো. আবদুর রহমান মুন্সী (৪৯) ও মো. মুনীরুজ্জামান মুন্সী (৪২)। তারা ফেনীতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভবনের নিচ তলায় একটি সেপটিক ট্যাংকে বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণে তিন ভাই নিহত হন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের উপরে একটি কক্ষে থাকতেন ওই শ্রমিকরা। ওই ট্যাংকে সৃষ্ট গ্যাস বের হওয়ার কোনো সুযোগ না রাখায় দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস জমে। ওইদিন হঠাৎ বিকট শব্দে ট্যাংকটি বিস্ফোরিত হয়। এতে ভবনের নিচতলাসহ ওপরের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাস্থলে তিন ভাই নিহত হন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, বিস্ফোরণে তিনজনের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, রুহুল আমিনের ভবনসহ সব ভবনের অনুমোদন দেয়ার সময় সেপটিক ট্যাংকের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়। কোনো শর্ত ও নির্দেশনা পালন করেননি ওই ভবন মালিক। নিহতদের ভাই আল আমিন বলেন, সেই ভবনে আমার তিন ভাই ভাড়া থাকতেন। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় তিন ভাই হারিয়ে আমরা হতভম্ব। ভবন মালিক রুহুল আমিন ও তার ছেলে সোহাগ স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে বলেছেন, ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিবেন। তাই তাদের অনুরোধে আমরা মামলা বা কোনো প্রকার অভিযোগ না দিয়ে মরদেহগুলো গ্রহণ করে নিয়ে গেছি।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মিলনের চেয়ারম্যান এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বলেন, পৌরসভার শর্ত অমান্য করায় দণ্ডবিধি অনুযায়ী এটি একটি হত্যাকাণ্ড । ভবন মালিক রুহুল আমিনকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। পরিবার মামলা দিতে অপারগ হলে পুলিশ অথবা পৌর কর্তৃপক্ষ তা করতে পারেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, নিহতদের পরিবার লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি, তাই ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুলিশ। দফারফার বিষয়ে কিছুই জানেন না ওসি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়