ডাকসু নির্বাচন ঘিরে পদাবনতি : স্বপদে ফিরছেন ঢাবি শিক্ষক শবনম

আগের সংবাদ

ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহীর মৃত্যু, দায় কার : গেটম্যানের অনুপস্থিতি নাকি মাইক্রোবাস চালকের অবহেলা > গেটম্যান নাজিম আটক

পরের সংবাদ

প্রবাসী পিতা-পুত্রের মৃত্যু : রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি তিন দিনেও, অপমৃত্যু মামলা

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২২ , ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ

মলয় চক্রবর্তী, ওসমানীনগর (সিলেট) থেকে : ওসমানীনগরে দুই যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মৃত্যু এবং ৩ জন গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঘটনার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। নিকটাত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। একই সঙ্গে নিকটাত্মীয় এবং মৃত ও অসুস্থদের মোবাইলের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হুছনে আরা ও তাদের ছেলে সাদিকুল ইসলামের অবস্থার কিচুটা উন্নতি হলেও মেয়ে সামিরা ইসলাম এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত বুধবার মধ্যরাতে রফিকুল ইসলামের শ্যালক দেলোয়ার হোসেনের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ওসমানীনগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়। ওই দিন রাতে পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পরিবারের কাছে যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাইকুল ইসলামের মরদেহ হস্তান্তর করে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের পারকুল মাদ্রাসা মাঠে পিতা-পুত্রের জানাজার পর নিজ গ্রাম দিরারাই খাতুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গত বুধবার দেশে ফেরেন রফিকুল ইসলামের বৃদ্ধ মা জরিনা বেগম, ভাই শফিকুল ইসলাম, বিজেকুল ইসলাম ও বোন শাহিনা বেগম।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই উপজেলার তাজপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী হুসনে আরা বেগম, ছেলে সাদিকুল ইসলাম, মাইকুল ইসলাম ও মেয়ে সামিরা ইসলাম। বাসায় তাদের সঙ্গে বসবাস করছিলেন রফিকুল ইসলামের শ্বশুর আনফর আলী, শাশুড়ি বদরুন্নেছা, শ্যালক দেলোয়ার হোসেন, শ্যালকের স্ত্রী শোভা বেগম ও তাদের শিশু মেয়ে সাবিলা বেগম। গত ২৫ জুলাই রাতের খাবার শেষে প্রবাসী পরিবারের সবাই একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে বেলা সোয়া ১১টায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন রফিকুল ইসলামের শ্যালক দেলোয়ার হোসেন। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় ৫ জনকে উদ্ধার করে

হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত ডাক্তার বাবা ও ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ পিপিএম, পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) ফরিদ উদ্দিন পিপিএম, ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
ওসমানীনগর থানার ওসি এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়