কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) নথি চুরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে তার সিদ্ধান্ত বদলে দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত মামলার চার্জশিট আমলে নেন। একই সঙ্গে এই মামলার পলাতক দুই আসামি আজাদ ও রবিউলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। আগামী ৩১ আগস্ট তাদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) তরিকুল ইসলাম মমিন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মচারী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দীন, রুবেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আব্দুস সালাদ আজাদ ও রবিউল আউয়াল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য তিনজনের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেই সংক্ষেপের নথিতে প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতির পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমাসহ বাকি আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সেই টিক চিহ্নটি টেম্পারিং করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন। এছাড়া বাকি আরেকজনের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে আব্দুস সামাদ আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেয়া হয়। তবে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গেলে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।