শিনজো আবের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা

আগের সংবাদ

ভোট ঘিরে তৎপর কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ সদস্যের অনাস্থা

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : নাগেশ্বরীতে ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১১ জন ইউপি সদস্য রেজুলেশন করে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তারা গত ১২ জুলাই সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিন তদন্তে গেছেন উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।
৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান সাহেব ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে ওয়ার্ড সদস্যদের কোনো প্রকার পাত্তা না দিয়ে নিজের ইচ্ছামতো সবকিছু একাই করে যাচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে তিনি বিভিন্নভাবে আমাদের ভয়ভীতি দেখান। কোন বরাদ্দের বিষয়ে আমাদের অবগত না করে তিনি একাই সিদ্ধান্ত নেন। সরকারি বিধিবিধান না মেনে তিনি একাই সুকানদিঘী (নয়ারহাট) নামে নতুন হাটের ইজারা দেন। অতিরিক্ত ট্যাক্স আদায় করে কোষাগারে জমা না করে সেই ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। সরকারি গেজেটে প্রকৃত নাম ৯নং ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ থাকলেও তিনি তার ইচ্ছামতো নাম পরিবর্তন করে আলোকিত ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে ঘোষণা এবং প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। ঈদুল আজহার আগে তালিকাভুক্ত দুই সহস্রাধিক দুস্থ মানুষকে ভিজিএফের চাল না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। তার আক্রোশ থেকে রক্ষা পাননি দুস্থ মোসলেমা (ভিজিডি কার্ড নং ১৯২)। গত ৫ মাস থেকে চেয়ারম্যান তাকে ভিজিডির চাল দেন না। এ রকম অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ফলে চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে এবং হতদরিদ্র মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার অপসারণের দাবিতে আমরা বৈঠক করে রেজুলেশনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯,৩৪ এর ৪ (ঘ) ধারার আলোকে ৩৯ ধারা অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করি। বৈঠকে উপস্থিত থেকে ওই রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন ১নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল বাতেন, ২নং ওয়ার্ড সদস্য গয়ানাথ রায়, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারী, ৪নং ওয়ার্ড আবুল ফারুক মিঠু, ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য ফেরদৌস আলী, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য সাইফুর রহমান, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আমিনুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ ওয়ার্ড মহিলা সদস্য ফাতেমা বেগম, সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ ওয়ার্ড মহিলা সদস্য নওরোজ জাহান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাছুম জানান, এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যানের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্তের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করে ১৯ জুলাই করা হয়েছে। চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে। মেম্বারদের অনৈতিক আবদার পূরণ করতে না পারায় আমি পরিস্থিতির স্বীকার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়