গাইবান্ধার নশরৎপুর : আড়াইশ পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

আগের সংবাদ

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ : চ্যালেঞ্জের সামনে দেশের অর্থনীতি

পরের সংবাদ

মহাসড়কে অবৈধ যান : টোকেনের মাধ্যমে নাভারন হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইয়ানূর রহমান, শার্শা (যশোর) : যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন মহাসড়কে টোকেনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে হাইওয়ে পুলিশ ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে গাড়ির মালিক ও চালকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে মহাসড়কে অবৈধ যান ও মাটি বহনকারী বাহনের ফলে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগী অবৈধ ও বৈধ যানবাহনের চালকরা বলছেন, কাগজপত্র দেখার নামে ও মামলার ভয় দেখিয়ে প্রতিদিন মাসোহারা ও চাঁদা নিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। এ ঘটনায় যানবাহনের মালিক ও চালকরা অসহায়ত্বের কথা বললেও চাঁদার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম।
জানা যায়, শার্শা উপজেলার প্রবেশদ্বারখ্যাত নাভারনে স্থাপিত হয়েছে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি। নাভারন সাতক্ষীরা মোড় থেকে মহাসড়ক দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। একটি নাভারন-বেনাপোল, অপরটি নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়ক। এ মহাসড়ক দুটি দিয়ে প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। মহাসড়কে নিরাপত্তা, দুর্ঘটনা রোধ এবং মাদক চোরাচালান বন্ধ করা এ ফাঁড়ির পুলিশের প্রধান কাজ। কিন্তু তারা নিজেরাই চাঁদাবাজিতে বেশি ব্যস্ত থাকে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। সড়কে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার অবৈধ যান বিভিন্ন মালামাল নিয়ে ও মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচল করলেও অজানা কারণে নাভারন হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলে। নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির চাঁদাবাজি নীরবে সহ্য করে যাচ্ছেন যানবাহনের মালিক, শ্রমিকরা। তারা দিন-রাত সমানতালে পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হলেও ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক ইজিবাইক চালক বলেন, আমাদের গত ২ মাস আগ পর্যন্ত টোকেন দিলেও বর্তমানে কোনো টোকেন দেয়া হচ্ছে না। তবে মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে বিনা রসিদে টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। মালিক-চালকদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পর টহলের নামে পুলিশের চাঁদাবাজি ভয়াবহ রূপ নেয়। মালবাহী ট্রাক, ছোট পিকআপ টাকা না দিলে রেহাই নেই। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও টোকেনের মাধ্যমে ফাঁড়ির পুলিশ নিয়মিত চাঁদা নিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়।
এর আগে নাভারন হাইওয়ে পুলিশের সাবেক ইনচার্জদের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজির বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে তাদের শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। এদিকে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহন করে চলেছে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আশ্রয়ে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি। ভরা বর্ষা মৌসুম চললেও থামছে না মাটি বহন করা। ফলে হাইওয়ে সড়কসহ গ্রাম্য রাস্তাগুলো কাদায় পিচ্ছিল হয়ে গেছে। ফলে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে শার্শা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি বলেন, বাইক নিয়ে মহাসড়কসহ গ্রাম্য রাস্তাও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পিচের রাস্তার ওপর মাটি পড়ে একটু বৃষ্টিতে পিচ্ছিল কাদার সৃষ্টি হয়। যাদের দেখার কথা তারা নিশ্চুপ থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, খুব শিগগিরই অবৈধ যানবাহনের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়