ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ : পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরের ফের মামলা

আগের সংবাদ

কে কোথায় কুরবানি দিচ্ছেন

পরের সংবাদ

বগুড়ায় সাড়া ফেলেছে ২২ মণের ‘হিরো আলম’

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বগুড়া প্রতিনিধি : জেলার কুরবানির হাটে বেশ সাড়া ফেলেছে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় ‘হিরো আলম’। ২২ মণ ওজনের এই গারুটির দাম হাঁকা হয়েছে ৭ লাখ টাকা। জেলা শহরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়ায় নিজ বাড়ির খামারে জন্ম নেয়া ফ্রিজিয়ান জাতের এ বাছুরটি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে পালন করেছেন খামারি জিয়াম প্রামাণিক। বাছুর থেকে সাড়ে তিন বছরের এখন বিশাল দেহী পশু। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে গোটা জেলাজুড়েই বেশ আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে ষাঁড় হিরো আলমকে নিয়ে। পাশাপাশি তাকে দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই। কুরবানির উপযোগী হিরো আলমের ওজন হয়েছে ৮৮০ কেজি তথা ২২ মণ। পশুটির দৈর্ঘ্য ৮ ফুট এবং উচ্চতা ৬ ফুট। হিরো আলমের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় থাকে তাজা ঘাস, খৈল, ভুসি, খর, কলা, ভুট্টা ও নাজিরশাইল চালের খুদ। একই সঙ্গে ভালোবাসার পশুটির যতেœও অবহেলার ঘাটতি রাখছেন না এ যুবক। খামারি জিয়াম জানান, সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি হিরো আলমকে ভালোবেসেই তিনি এ ষাঁড়ের নাম রেখেছেন। তার চাওয়া এ পশুটি বিক্রি হয়ে যাওয়ার একদিন আগে হলেও যেন ব্যক্তি হিরো আলম গরুটি দেখতে আসেন। হিরো আলমকে নিয়ে প্রত্যাশার পাশাপাশি হতাশার সুরও ঝড়লো জিয়ামের কণ্ঠে। তার কথায়, আমার মতো যারা ক্ষুদ্র খামারিরা আছেন তারা অনেক স্বপ্ন ও ভালোবাসা দিয়ে বছরের একটি কিংবা ২টি গরু লালন-পালন করেন। তবে স্থানীয় বেশ কিছু বৃহৎ গরু খামারিদের বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আমরা বিপাকে পড়ছি। তিনি বলেন, অনেক বড় বড় খামারি বাবার দেয়া বিশাল অঙ্কের টাকা নিয়ে খামার গড়েছেন। তারা নিজেকে সফল উদ্যোক্তা খামারি হিসেবে গণমাধ্যমে জানাচ্ছে। তিনি বলেন, উদ্যোক্তা কাকে বলে? যারা দুয়েকটি পশু থেকে ধীরে ধীরে বড় খামারি হয়ে ওঠে তারাই উদ্যোক্তা। এসব উদ্যোক্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে প্রকৃত ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের পশু পালন ও বিক্রি প্রতিবন্ধতকার সৃষ্টি করছে। এদের কারণে ছোট ও মাঝারি উদ্যোগে নষ্ট হচ্ছে। তার কথায়, নিজের বাড়িতে জন্ম নেয়া গরুকে লালন-পালন করে বড় করেছেন অন্যরা হাটবাজার থেকে গরু কিনে এনে ৬ মাস লালন-পালন করে কুরবানির জন্য। আমরা যারা কষ্ট করে গরু লালন-পালন করি তারা কোনো প্রকার ক্ষতিকারক ট্যাবলেট কিংবা ইনসুলিন ব্যবহার করি না। এতে করে কুরবানিযোগ্য পশু সুস্থ থাকে। ক্রেতাও ভালো পশু কিনতে পারেন। এদিকে নিজের নামে গরুর নাম রাখায় খুশি হিরো আলমও। ভক্তরা ভালোবেসেই তার নাম ব্যবহার করছেন বলে দাবি তার। হিরো আলমের মুঠোফোনে তিনি জানান, মানুষ আমাকে ভালোবাসে বিধায় তারা আমার নাম ব্যবহার করছে। শুধু তাই নয়, নানা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো আমার নাম ব্যবহার করে নানা পণ্য তৈরি করছে। হাটে নয় বরং শখের হিরো আলমকে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জিয়াম। আর দর-দামে মিললে সেই ভাগ্যবান ক্রেতার হাতেই হিরো আলমকে তুলে দিতে চান এ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়