অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দেড় লাখ টাকা খোয়া ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

কুরবানির পশুর হাট জমজমাট :

পরের সংবাদ

ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশন : যাত্রী ছাউনি না থাকায় চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনে রেল যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে নাজেহাল অবস্থা এখন যাত্রীদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আগে রোড রেলস্টেশনের যাত্রী শেড (ছাউনি) ছিল ছোট। ট্রেন এসে থামলে সামনের কয়েকটি ও পিছনের কয়েকটি কোচ (বগি) সেডের বাইরে থাকত। তখন যাত্রীদের বৃষ্টির সময় ভিজে ভিজে ট্রেনে উঠতে বা নামতে হতো। কিন্তু এখন অবস্থা আরো ভয়াবহ। নতুন করে শেড নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আগের পুরনো শেডও খুলে ফেলে রেখেছে। স্টেশনে এখন শেড বলতে কিছুই নেই। এই বর্ষায় যাত্রীরা কাকভেজা হয়ে ট্রেনে উঠছেন আর নামছেন। ট্রেনের অপেক্ষায় নিরাপদে দাঁড়ানোর কোনো জায়গা নেই। বৃষ্টি হলে অবধারিতভাবে ভিজতে হচ্ছে তাদের। আষাঢ় মাসে এখন প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল।
সরজমিন দেখা যায়, ঢাকা থেকে দ্রুতযান আন্তঃনগর ট্রেনটি সকাল ৭টায় স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে। আর অসংখ্য নারী পুরুষ ও শিশু ট্রেনযাত্রী বৃষ্টির পানি মাথায় নিয়ে অসহায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। একইভাবে ঢাকা থেকে আগত যাত্রীরা ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বৃষ্টির মধ্যেই নামতে থাকেন। নামার পরও বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচার জন্য কোথাও আশ্রয় পাননি তারা। বিশ্রামাগারও ছিল বন্ধ। তাই সব যাত্রী বৃষ্টিতে ভিজেছেন, মালপত্রও ভিজেছে। ঢাকা থেকে আগত যাত্রী ইশতিয়াক ও তার স্ত্রী নূরজাহান জানান, ট্রেন থেকে নেমে এভাবে ভিজতে হবে তা তারা আশা করেননি। তাদের ৩ বছরের শিশু সন্তান ইয়োহানও বৃষ্টি থেকে রেহাই পাননি। বৃষ্টিতে ভিজেছে তাদের মালপত্র। পরে ইজিবাইকের একজন চালক তাদের মালপত্র বাইকে তুলে নেন।
সবচেয়ে করুণ অবস্থা প্ল্যাটফর্ম নম্বর ২ এ। সেখানে বৃষ্টি ও রোদের ভোগান্তি তো আছেই, আছে সেখানে পৌঁছার ভোগান্তি। একই দিনে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়- পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা দোলনচাপা এক্সপ্রেস ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসছে। যাত্রীদের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্য বলা হয়। সেখানে নেই কোনো ওভার ব্রিজ। যাত্রীরা পড়িমরি করে প্ল্যাটফর্ম থেকে কয়েক ফুট নিচে অনেক কষ্টে নেমে আবার ওপারে কয়েক ফুট উপরে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে উঠেন। এ সময় অনেকে রেললাইনে হোঁচট খেয়ে পড়েও যান। অনেককে টেনে হিঁচড়ে টেনে উঠাতে দেখা যায়। বলাবাহুল্য সবই হয় বৃষ্টির মধ্যে।
ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার জানান, এ ব্যাপারে আমাদের করার কিছুই নেই। কবে শেড নির্মাণ শেষ হবে তা বলতে পারে ঠিকাদার বা রেলের লালমনিরহাট ডিভিশন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়