মুম্বাইয়ে ভবনধসে নিহত ১৯

আগের সংবাদ

বানভাসিদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

পরের সংবাদ

মো. হুমায়ুন কবির : ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এখন অনেক শক্তিশালী

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সবসময়ই ঢাকা মহানগরের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। পুরান ঢাকার বড় অংশটিই দক্ষিণের আওতাধীন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দলীয় সভাপতির কার্যালয়সহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখানে। তাই মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। যেকোনো কমিটি করা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সততা ও দক্ষতার সঙ্গে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ

মোকাবিলা করছি। সম্প্রতি ভোরের কাগজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে আমরা পুরোদমে কাজ করি। এরপর প্রতিটি ইউনিটকে সম্মেলনের মাধ্যমে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিই। করোনার সময় আমরা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশ ও সহযোগিতায় খাদ্য ও ত্রাণ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। এখন পুরোদমে সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছি। প্রথমেই প্রতিটি ইউনিটে সদস্য সংগ্রহ অভিযান সম্পন্ন করি। দ্রুত সম্মেলন ও কমিটি করতে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী আসনভিত্তিক ৮টি সাংগঠনিক টিম গঠন করি। তারা পুরোদমে কাজ শুরু করেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে ইউনিট সম্মেলন প্রায় শেষ করে এনেছি। ঢাকা মহানগরে এবারই প্রথম সম্মেলনের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক ইউনিট কমিটি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রাম ও নির্বাচনে এই ইউনিট কমিটিগুলো মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা না করে, সবার সঙ্গে আলোচনা করে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে ৩৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে দিচ্ছি। আগামী মাস থেকে থানা ও ওয়ার্ডের সম্মেলন শুরু করব। আশা করি, অক্টোবরের মধ্যেই এসব সম্মেলন শেষ করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে একটি শক্তিশালী সংগঠন উপহার দিতে পারব।
নিজের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা কলেজে পড়াকালীন সময়েই বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্যপুত্র শেখ কামালের হাত ধরেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই। ১৯৮৬ সালে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর বৃহত্তর লালবাগ থানা (লালবাগ, চকবাজার, কামরাঙ্গীচর ও হাজারীবাগ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের দোয়া ও সমর্থনে ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হই। টানা ২৭ বছর কমিশনারের দায়িত্ব পালন করি। ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ২০১৯ সালে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আছি। আজীবন বঙ্গবন্ধুকন্যার আস্থা ধরে রেখে কাজ করে যেতে চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়