মুম্বাইয়ে ভবনধসে নিহত ১৯

আগের সংবাদ

বানভাসিদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

পরের সংবাদ

পারিবারিক অর্থের প্রয়োজনে বাইকচালককে খুন

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরে ভাড়ায় নিয়ে চালককে খুন করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার নিহত মোটরসাইকেলচালক রাজা হোসেনের (৩৪) বাবা মো. মফিজ মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। নিহত রাজার বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সাইচাকুড়া নন্নী গ্রামে।
এদিকে হানিফ পরিবহনে হেলপার হিসেবে কর্মরত গ্রেপ্তার ঘাতক ছিনতাইকারী কাওসার আহম্মেদ (২২) জানিয়েছেন, পারিবারিক কারণে অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় মোটরসাইকেলচালককে খুন করেন তিনি। ঘটনার বিস্তারিত জানতে তার রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পল্লবী থানা পুলিশ জানায়, ছিনতাইকারী কাওছার আহম্মেদ গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কালশী মোড় থেকে পাঠাওচালক রাজা হোসেনকে গাবতলীতে পৌঁছে দেয়ার জন্য ১৫০ টাকায় ভাড়া করেন। মোটরসাইকেল চালুর পরে ঘাতক কাওছার আহম্মেদ সুকৌশলে তার এলাকা সেকশন-১২ এর ধ-ব্লকে ১৪৯ নং বাসার সামনে পাকা রাস্তায় চালককে নিয়ে আসেন। আনার পরেই আগে থেকেই ঘাতক তার ব্যাগে রাখা ‘কাটার চাকু’ ভুক্তভোগীর গলায় ঠেকিয়ে পোচ দিলে মোটরসাইকেলসহ রাস্তার উপর পড়ে যান তিনি। এরপর রাজার মৃত্যু নিশ্চিত হলে কাগজপত্রসহ মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যান কাওসার। এ সময় বিরুলিয়া ব্রিজ পার হয়ে সাভার মেইন রোড দিয়ে যাওয়ার সময় বিরুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পের টহল পুলিশের চেকপোস্টে আটক হন তিনি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে পল্লবী থানা পুলিশকে জানানো হয় বিষয়টি। তখন থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) উদয় কুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি স্পেশাল টিম তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়ে ঘাতককে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মিরপুর ১২ নম্বর সেকশন থেকে ওই চালকের লাশ, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, হত্যার সময়

পরিধেয় আকাশি রংয়ের শার্ট ও নীল রংয়ের জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আসামিকে নিয়ে পল্লবী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের উত্তর পাশে সূর্যোদয় সমাজ কল্যাণ সংসদসংলগ্ন রাবিশের বস্তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটিও উদ্ধার করা হয়। আসামিকে বর্তমানে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
নিহত রাজা হোসেনের মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পল্লবী থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) উদয় কুমার মণ্ডল ভোরের কাগজকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক ব্যক্তি আমাদের জানান, হানিফ পরিবহনে হেলপার হিসেবে কর্মরত তিনি। আজ (গতকাল) সকালে ট্রিপ নিয়ে তার কুড়িগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যেই এমন কাণ্ড ঘটান তিনি।
হত্যাকারী জানিয়েছেন, পারিবারিক কারণে তার অনেক টাকার দরকার ছিল। মোটরসাইকেল বিক্রি করে টাকা পাওয়ার চিন্তা থেকেই খুনের পথ বেছে নেন কাওসার। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে রিমান্ডে নিলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়