মুম্বাইয়ে ভবনধসে নিহত ১৯

আগের সংবাদ

বানভাসিদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল : ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিল জালিয়াতির অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : ভুয়া স্মারক নম্বর বসিয়ে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার একটি বিল ছাড়াতে জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। নগরের পাঁচলাইশ কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার এ জালিয়াতি ধরা পড়ে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. ফোরকানকে পুলিশ প্রথমে থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের হেফাজতে দেয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টির তদন্ত করে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে এ বিষয়ে দুদকে একটি অভিযোগ দায়ের করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় আটটি আইসিইউ বেড ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় অনিয়ম হয়। এ ঘটনায় দুদকর দায়ের করা একটি মামলা শুনানি পর্যায়ে রয়েছে। ফলে মালামাল সরবরাহকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিলও আটকে যায়। গত মঙ্গলবার ভুয়া স্মারক নম্বর তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে সবার অগোচরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে ওই বিল ছাড়ানোর চেষ্টা করেন জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. ফোরকান। অর্থবছরের হিসাব গোছানোর সমাপনী দিনে ফোরকান বিলটি নিয়ে বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক অফিসে গেলে জাল বিলের বিষয়টি ধরা পড়ে। এর আগে চলতি বছরের ১৭ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটিও চট্টগ্রামে আসে বিষয়টি তদন্তের জন্য।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের একটি বিলের স্মারক নম্বর জেনারেল হাসপাতালের নামে আরেকটি বিলের কাগজে বসিয়ে জাল কাগজ তৈরি

করে ফোরকান। সে কাগজে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক থেকে স্বাক্ষর করিয়ে দুপুরেই নিয়ে যান বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক অফিসে। সেখানে সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তার বিষয়টি সন্দেহ হলে পরবর্তী সময়ে অফিস প্রধানকে অবহিত করা হয়। পরে তারা (বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর ফোরকানকে আটকে রাখা হয় হিসাব নিয়ন্ত্রক অফিসে। পরে তাকে পাঁচলাইশ থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফোরকানকে নিজ জিম্মায় ছাড়িয়ে আনেন।
বিল জালিয়াতির কথা স্বীকার করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, জুনের সমাপনী হিসাব নিয়ে কাজ করছিলাম। হাসপাতালের আইসিইউ স্থাপন সংক্রান্ত ২০১৩-১৪ সালের একটি বকেয়া বিল ছিল। যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। তিনি বলেন, বিলটিতে ত্রæটি ছিল। একটি কাগজ জাল ছিল। ওটা ঠিকাদার আমাদের দিয়েছে। হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে ওটা ধরা পড়ে। ভুয়া স্মারক নম্বর ব্যবহার করা হয়। এ বিষয়ে আমরা দুদকে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কথা থাকলেও এখনো নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনো সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল মঙ্গলবার রাতে। গতকাল বুধবার সকালে আসার কথা থাকলেও কেউ আসেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়