বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ন : এমপি হারুনের নোটিস নাকচ করলেন স্পিকার

আগের সংবাদ

ঢাকার তৃণমূলে আ.লীগের পদ পেলেন ৫৪ হাজার কর্মী : থানা-ওয়ার্ডে পদ পাচ্ছেন আরো সাড়ে ১২ হাজার > সংগঠন গোছাতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নগর নেতারা

পরের সংবাদ

আশ্রয়ণ প্রকল্প : ইন্দুরকানীতে ‘গৃহহীনের’ ঘরে এসি ফ্রিজ!

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে বর্তমান সরকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের মধ্যে দুর্যোগ সহনীয় কিছু ঘর বিতরণ করে সরকার। কিন্তু গৃহহীন কোটায় ঘর পাওয়া এক ব্যক্তির ঘরে এসি এবং আকাশ ডিটিএইচ লাগানোর পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তার ঘরে রয়েছে টিভি, ফ্রিজসহ নানা বিলাস সামগ্রী। এমন ঘটনা ঘটেছে ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া গ্রামে। উপজেলায় রাজনৈতিক বিবেচনায় এ রকম আরো ঘর বরাদ্দ হয়েছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যিনি ওই ঘরের মালিক তিনি জাতীয় পার্টি-জেপির সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজ ইন্দুরকানী উপজেলার ৩নং বালিপাড়া ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক। রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা হওয়ার সুবাদে দলীয় সুপারিশে তিনি ঘরটি পেয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি ড্রেজার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মাসে ৫০ থেকে ১ লাখ টাকা আয় রয়েছে তার। চলেন প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের পালসার গাড়িতে। চলাফেরা কিংবা বেশভূষা দেখে বোঝার উপায়ই নেই যে তিনি একজন দরিদ্র মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য এ উপজেলায় ৫৪৪টি গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর মধ্যে কিছু ঘর নির্মাণাধীন অবস্থায় থাকলেও বাকি ঘরগুলোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় তালিকাভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর মাঝে ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ উপজেলায় দলীয় সুপারিশে বেশ কিছু ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে, যার অধিকাংশই জেপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে বরাদ্দ হয়েছে।
এ বিষয়ে আশ্রয়ণের ঘর পাওয়া মো. ইকবাল সেপাইয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারিভাবে আমি এই ঘরটি পেয়েছি। আমি গরম সহ্য করতে পারি না, তাই ঘরে এসি লাগিয়েছি। এতে দোষের কী হলো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহহীনদের তালিকায় বালিপাড়া গ্রামে ইকবাল সেপাইর নামে একটি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি পরে নিজ উদ্যোগে ঘরে এসি লাগিয়েছেন বলে কয়েকদিন আগে আমি লোকমুখে জানতে পেরেছি।
ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম বলেন, কোনো সচ্ছল ব্যক্তি এ ঘর পাওয়ার কথা নয়। আমি এখানে যোগদান করার আগে তাকে ঘরটি হস্তান্তর করা হয়েছিল। তারপরও বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য খোঁজখবর নিয়ে দেখব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়