দৈনিক ওঠানামার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আগের সংবাদ

জনগণের সাহসেই পদ্মা সেতু : বন্যার দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার > বিএনপির নেতা কে? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

ড্রেনের অভাবে জলাবদ্ধতায় নাগরপুরবাসীর দুর্ভোগ

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : নাগরপুরে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চলতি বর্ষা মৌসুমে উপজেলা সদর বাজারে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠছে। একটু বৃষ্টিতেই সড়কগুলোতে হাঁটুপানি জমে যায়। দেখে মনে হয়, সড়ক তো নয় যেন সরু খাল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শুধু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে অবর্ণনীয় কষ্ট ও সীমাহীন দুর্ভোগ হচ্ছে জনসাধারণের নিত্যসঙ্গী। বর্ষা ও বৃষ্টি মৌসুমে জনগণের এ দুর্ভোগ আরো বহুগুণে বেড়ে যায়। সরজমিন নাগরপুর সদর বাজারের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দুর্ভোগের এসব চিত্র চোখে পড়ে।
জানা যায়, ২০০৬ সালের শেষের দিকে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে বাজারের এক পাশ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হয়। এরপর সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় ড্রেনটি বন্ধ হয়ে জনগণের বিষফোড়ায় পরিণত হয়েছে। জলাবদ্ধ সড়কে ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। বেহাল রাস্তা-ঘাটে জনচলাচল তো দূরের কথা হাঁটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার সদর বাজারের বটতলা থেকে সোনালী ব্যাংক সড়ক, তালতলা থেকে অগ্রণী ব্যাংক সড়ক ও টাঙ্গাইল আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলা গেট সংলগ্ন সড়কে অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলজটের কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। এছাড়া ছোট-বড় খানাখন্দে পানি জমে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। বিঘিœত হচ্ছে যান চলাচল। বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। কথা হয় স্থানীয় আইনজীবী এডভোকেট রাজিউল ইসলাম লেবুর সঙ্গে। তিনি জানান, তালতলা হয়ে অগ্রণী ব্যাংক সড়কে বৃষ্টির পানি জমে এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে যে হাঁটা দুষ্কর, বাধ্য হয়ে কাঁচা বাজার সড়ক ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্কুলশিক্ষক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ব্রিজ, কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হলেও উপজেলা সদর বাজারে শুধু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে। সিএনজিচালিত অটো রিকশাচালক শহিদুল বলেন, বৃষ্টির পানি জমে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় গাড়ি উল্টে যাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাহবুবুর রহমান জানান, তালতলা থেকে অগ্রণী ব্যাংক সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে এডিবি থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিচু সড়কগুলো বৃষ্টি মৌসুম শেষে ব্রিক সোলিং করে যান ও পথচারীদের চলাচলের উপযোগী করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়