আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

চার জেলায় বজ্রপাত কেড়ে নিল ৯ প্রাণ

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ময়মনসিংহ, বগুড়া ও জামালপুরে গতকাল শুক্রবার বজ্রপাতে শিক্ষার্থীসহ ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট-
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ সদর, নান্দাইল ও ধোবাউড়া উপজেলায় বজ্রপাতে তিন শিশুসহ ছয়জন মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনটি পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার দড়িকুষ্টিয়া বাল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক আবু বকর (৪০), জাহাঙ্গীর আলম (৩০), নান্দাইল উপজেলার কংকরহাটি গ্রামের শহীদুল্লাহর ছেলে সাঈদ মিয়া (১২), হাদিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১১), বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. শাওন (৮) ও ধোবাউড়া উপজেলার চরমুহিনী গ্রামের আবু সাঈদ (৩০)।
কোতোয়ালি থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, দুপুরে ফসলের ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে বকর ও জাহাঙ্গীর মারা যান। একই সময় নান্দাইল উপজেলায় মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো- সাঈদ, স্বাধীন ও শাওন।
নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, তিন শিশু কংকরহাটি গ্রামে বৃষ্টির সময় একসঙ্গে মাছ ধরছিল। দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতে তারা আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ধোবাউড়ার সাঈদও মাছ ধরার সময় মারা যান। ধোবাউড়া থানার ওসি টিপু সুলতান জানান, সাঈদ সকালে এলাকার গুগড়া বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মারা যান।
পরিবার কোনো অভিযোগ না দেয়ায় সবার লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ধুনট (বগুড়া) : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বজ্রপাতে তবজেল হোসেন (৭০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে আবাদি জমিতে কাজ করার সময় তিনি বজ্রপাতে মারা যান। নিহত তবজেল হোসেন এলাঙ্গী ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের মৃত আকিুমুদ্দিনের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তবজেল হোসেন বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ির পাশে রোপা-আমন ধানের জমিতে কোদাল দিয়ে আইল কাটছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে প্রচণ্ড বজ্রপাত শুরু হয়। একপর্যায়ে বজ্রপাতে তবজেল হোসেনের মাথা ও শরীরের ডান পাশের অংশ পুড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে তবজেল হোসেন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। পরিবারের লোকজন সেখান থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বজ্রপাতে শাকিল মিয়া (১৪) নামে নবম শ্রেণিতে পড়–য়া এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল ওই গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও শুয়াকৈর জমশের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, সকালে বৃষ্টি চলাকালে শাকিল বাড়ির পাশে বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে সে আহত হয়ে বিলের পানিতে পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন শাকিলকে খুঁজতে বিলপাড়ে গেলে তাকে পানিতে ভাসতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদী হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান বলেন, সকালে বজ্রপাত ঘটনায় আহত শাকিল নামে এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবার। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়