সোহেল চৌধুরী হত্যা : শেষ দিনেও দাখিল হয়নি কেস ডকেট

আগের সংবাদ

ভয়াবহ বন্যায় দিশাহারা মানুষ

পরের সংবাদ

বুলবুল হত্যায় আরো একজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরে প্রায় ৩ মাস আগে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহি বুলবুলের হত্যার ঘটনায় আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা থেকে রিপন নামে ২৫ বয়সি ওই যুবককে গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত যুবকই দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহি বুলবুলের উরুতে ছুরিকাঘাত করেছিল। আর এতেই মৃত্যু হয় তার। এর আগে এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ ছিনতাইচক্রের অন্য চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আর রিপনকে আটকের মধ্য দিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার করল ডিবি পুলিশ। যদিও শুরু থেকেই বুলবুলের স্বজনদের দাবি ছিল, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে গত ৩০ মার্চ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানায়, পেশাদার ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতেই মৃত্যু হয় বুলবুলের। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল মূল রিপন। তাকে গ্রেপ্তারের পরেও একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছে ডিবি।
বুলবুলকে হত্যার ঘটনায় রিপনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সবাইকে গ্রেপ্তার করা গেল উল্লেখ করে মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার বলেন, ছিনতাইকারী দলটির নেতা সে। রিপনই চিকিৎসক বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করেছিল। গ্রেপ্তারের পর সে তার দায় স্বীকার করেছে। বুলবুলকে হত্যার পর রিপন নলছিটিতে পালিয়ে ছিল। তার বাড়ি ওই এলাকায়। ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রিপন জানিয়েছে, বুলবুলের সঙ্গে থাকা টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে পাঁচজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। বুলবুলের কাছে ১২ হাজার টাকা ছিল। ৩৮ বছর বয়সি দন্ত চিকিৎসক বুলবুল গত ২৭ মার্চ ভোরে নোয়াখালী যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে শেওড়াপাড়ায় ছিনতাইকারীর হামলার শিকার হয়ে মারা গেলে স্ত্রী শাম্মী আক্তার ওইদিনই অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। তিন দিন পর ৩০ মার্চ বুলবুল হত্যায় আরিয়ান ওরফে হাফিজুল ওরফে হৃদয় (৩৯), সোলায়মান (২৩), রায়হান ওরফে আপন ওরফে সোহেল (২৭) ও রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫) নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আকতার চারজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বুলবুল ছিনতাইকারীর হামলার শিকার হয়েছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতরা দলে মোট পাঁচজন ছিল। ছিনতাই করতে গিয়েই তারা বুলবুলকে ছুরি মারে। এর সঙ্গে ওই চিকিৎসকের ঠিকাদারি ব্যবসার বিরোধের কোনো বিষয় নেই।

এদিকে গ্রেপ্তারকৃত হৃদয় ও সোলায়মান ইতোমধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি অনুযায়ী, তারা পাঁচজন গত ২৬ মার্চ দিবাগত রাত ২টা থেকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ঘোরাঘুরি করছিল। বুলবুল যখন রিকশায় করে পশ্চিম কাজীপাড়ার নাভানা ফার্নিচারের সামনে আসেন, তখন তার গতিরোধ করে তারা। এ সময় দলনেতা রিপনসহ অন্যরা বুলবুলের কাছে যা আছে, তা দিয়ে দিতে বলে। বুলবুল দিতে রাজি না হলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ার সময় বাধা দিলে বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করে রিপন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়