আবহাওয়ার পূর্বাভাস : অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা : রিফাতকে জয়ী ঘোষণা > অজ্ঞাত ফোনের পর হামলা > মনগড়া ফল : অভিযোগ সাক্কুর

পরের সংবাদ

৭৫তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা : জাতির কথক সেলিনা হোসেন উৎস থেকেই সৃষ্টিমুখী

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, যার রচনায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ গণমানুষের সংগ্রাম হিসেবে চিত্রায়িত হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক ধারণা দেয়, গতকাল ছিল সেই মানুষটির জন্মদিন। তিনি বাঙালি জীবনের সমাজ-সংকট ও সম্ভাবনার চিত্র, ছিটমহলের মানুষের জীবন, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনকে উপন্যাসে রূপ দিয়েছেন। এমনকি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও কর্ম নিয়েও তৈরি করেছেন অনবদ্য উপন্যাস। গতকাল ছিল এই কথাশিল্পীর ৭৫তম জন্মবার্ষিকী।
এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রখ্যাত এই কথাসাহিত্যিকের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনাড়ম্বর এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সেলিনা হোসেনের জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন একাডেমির পরিচালক ও উপপরিচালকবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ডা. কে. এম. মুজাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে সেলিনা হোসেনকে নিবেদিত স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, সেলিনা হোসেন ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগদান করে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়ে গেছেন। আবারো তিনি সভাপতি হিসেবে ফিরে এসে আমাদের পরিবারের অন্যতম অভিভাবক হয়ে কাজ করছেন। এই প্রতিষ্ঠানে তিনি তার মেধা ও মননের অনেক স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তার লেখা বই দেশের বাইরেও পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং তার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে বেশকিছু গবেষণাকর্ম সম্পন্ন হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, জাতির কথক সেলিনা হোসেন উৎস থেকে নিরন্তর সৃষ্টিমুখী। বাংলা সাহিত্যের এক চির-আধুনিক কথাসাহিত্যিক।
বাংলাদেশের সংগ্রামে অভিযাত্রা এবং সেলিনা হোসেনের কথাসাহিত্য যেন সমার্থক। জন্মদিন আয়োজনের প্রতিক্রিয়ায় সেলিনা হোসেন বলেন, আমার অন্য একটি জায়গায় চাকরি হয়েছিল। আমি সেখানে যোগদান করিনি। বাংলা একাডেমিতে যোগদান করেছিলাম, কারণ বাংলা একাডেমিতে যুক্ত হলে নিজেকে তৈরি করতে পারব এবং নিজের শিল্প-সাহিত্যের জায়গাগুলো বাংলা একাডেমিতেই কাজের মাধ্যমে তৈরি হবে। বাংলা একাডেমি সেই জায়গাটিকে ধারণ করেছিল আর আমি সেখান থেকে নিজেকে তৈরি করেছিলাম। গবেষণা-শিল্প-সাহিত্যচর্চা সব মিলিয়ে বাংলা একাডেমি আমার কাছে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়