আবহাওয়ার পূর্বাভাস : অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা : রিফাতকে জয়ী ঘোষণা > অজ্ঞাত ফোনের পর হামলা > মনগড়া ফল : অভিযোগ সাক্কুর

পরের সংবাদ

সরকারি কর্মকর্তাদের অর্থ পাচার : বাজেটে বৈধ করার সুযোগ দিলেও ছাড় দেবে না দুদক

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে দেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে পাচার হওয়া অর্থ বৈধ করার সুযোগ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ কর দিয়ে এসব অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনলে এর বৈধতা নিয়ে কর বিভাগসহ যে কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন দুদক সচিব মাহবুব হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
দুদক সচিব বলেন, বাজেটে সরকার অর্থপাচারকারীদের বিষয়ে ছাড় দিয়েছে জানতে পেরেছি। তবে সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি দুদকে। তিনি বলেন, দুদক একটি সংবিধিবদ্ধ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ নিজস্ব আইনে পরিচালিত হয়। আমরা সরকার নয়, শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। এ পরিস্থিতিতে দুদকের মানিলন্ডারিং আইনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যে আইন আছে আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নেব।
এ সময় ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কমিশনের চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বন্ধকী সম্পত্তির অতিমূল্যায়ন দেখিয়ে ৬৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সোমবার কমিশনের নিয়মিত সভায় অভিযোগপত্রটি অনুমোদন দেয়া হয় বলে তিনি নিশ্চিত করেন। যে কোনো সময় এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন জাতীয় সংসদের পাচার করা অর্থের বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী বিদেশে অবস্থিত যে কোনো সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যে কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না। বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা হলে এর ওপর ১৫ শতাংশ, বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি দেশে আনা হলে ১০ শতাংশ ও দেশে পাঠানো (রেমিট্যান্স) নগদ অর্থের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ হারে করারোপের প্রস্তাব করেন তিনি। এ সুবিধা ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। প্রস্তাবিত বিধান কার্যকর হলে অর্থনীতির মূল স্রোতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে, আয়কর রাজস্ব আহরণ বাড়বে বলে বাজেটে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়