আবহাওয়ার পূর্বাভাস : অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা : রিফাতকে জয়ী ঘোষণা > অজ্ঞাত ফোনের পর হামলা > মনগড়া ফল : অভিযোগ সাক্কুর

পরের সংবাদ

মার্সেলোর বিদায়ে আবেগী রোনালদো

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : দীর্ঘ ১৫ বছর সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছিল মার্সেলোর ঘর। ২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা নয় মৌসুম রোনালদোর সঙ্গে খেলে আক্রমণভাগে বহু স্মরণীয় মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন মার্সেলো। রিয়ালের হয়ে রোনালদোর অনেক গোলের উৎসও তিনি। পর্তুগিজ তারকার সঙ্গে মাঠের বাইরের বন্ধুত্বটাও গড়িয়েছে পরিবার পর্যন্ত। ২০১৮ সালে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে নাম লেখান রোনালদো। এর মধ্যদিয়ে রিয়ালে রোনালদোর সঙ্গে মার্সেলোর মাঠের জুটি ভেঙে যায়। রিয়ালের হয়ে জেতা ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফির ৪টিই রোনালদোর সঙ্গে জিতেছেন মার্সেলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুজনের যোগাযোগটা নিয়মিত। এবার রিয়াল লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর মৌসুম শেষে ব্রাজিলিয়ান তারকার চুক্তির মেয়াদও শেষ হয়। একসঙ্গে তারা কত ম্যাচ খেলেছেন! রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। মার্সেলো বিদায় নিলেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকেই, ক্লাবে ১৬টি মৌসুম কাটিয়ে।
বিদায়বেলায় কাঁদলেন মার্সেলো। নিজে আবেগে ভাসলেন, ভাসালেন বাকিদেরও। রোনালদো এখন পাশে নেই। কিন্তু মার্সেলোর বিদায়ে আবেগময় হয়ে পড়লেন তিনিও।
পর্তুগিজ যুবরাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তায় লিখলেন, ‘মার্সেলো আমার সতীর্থের চেয়েও বেশি, ফুটবল আমাকে একজন ভাই দিয়েছে।’ রোনালদো যোগ করেন, ‘মাঠ এবং মাঠের বাইরে, সে সর্বকালের সেরা তারকাদের মধ্যে অন্যতম যার সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করাটা আমার জন্য আনন্দের ছিল। নতুন অভিযানে এগিয়ে যাও, মার্সেলো।’ শুধু রোনালদো নন, ব্রাজিলিয়ান তারকাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার অন্য সাবেক ও বর্তমান সতীর্থরা। সাবেক সতীর্থ এবং অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস লিখেছেন, ‘তুমি শিশু হয়ে এসেছিলে। কতবার আমি বলেছি, মার্সেলো, ফিরে এসো! এমন একজন কিংবদন্তি হয়ে থাকার জন্য ধন্যবাদ। বন্ধু তোমাকে আলিঙ্গন, ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা।’
রিয়াল মাদ্রিদের আগামী দিনের তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র বলেছেন, ‘মার্সেলো! সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ! বিশ্বের সেরা ক্লাবের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা কিংবদন্তি। তোমার সঙ্গে খেলতে পারা এবং শেখা আমার জন্য আনন্দের ছিল।’ রিয়ালের আরেক তারকা টনি ক্রুস লিখেছেন, ‘আমি বলতে পারব, সর্বকালের সেরা একজন লেফট-ব্যাকের সঙ্গে খেলেছি।’ সাল ২০০৭, ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ক্লাব ফ্লামেন্স থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সি মার্সেলো। সেই থেকে কেটে গেছে ১৫টি বছর। লস ব্লাঙ্কোদের অসংখ্য সাফল্যের সঙ্গী হয়েছেন তিনি। অবশেষে বিদায়ের ঘণ্টা বেজেছে মার্সেলোর। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পরই মার্সেলো জানিয়ে দেন, রিয়ালের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। সোমবার সেটাই আনুষ্ঠানিক রূপ পেল।
রিয়ালকে বিদায় জানালেও নতুন ঠিকানা এখনো বেছে নেননি মার্সেলো। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত নন। বিদায়ী বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবী না, বর্তমান নিয়ে থাকতেই পছন্দ করি। সারাজীবন যে ক্লাবে খেলেছি, ‘সেখান থেকে চলে যাওয়া সত্যিই কঠিন।
আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত নই। আমি এখানে যা চেয়েছিলাম তাই করেছি এবং সামনের চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি। অনিশ্চয়তা নিয়ে আমি ভীত নই, বরং রোমাঞ্চিত।’
মার্সেলো বলেন, ‘আমি মাথা উঁচু করে বিদায় নিচ্ছি। আমার পরিবার আমাকে নিয়ে গর্বিত।’ নতুন ঠিকানার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি মার্সেলো। তবে অবসরের ভাবনা বা দেশের কোনো ক্লাবে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। ইউরোপের কোনো ক্লাবেই খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৫৪৬টি ম্যাচ খেলেছেন মার্সেলো। লস ব্লাঙ্কোদের হয়ে ২৫টি শিরোপা জিতেছেন তিনি। তার মধ্যে ৬টি লা লিগা, ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়