আবহাওয়ার পূর্বাভাস : অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা : রিফাতকে জয়ী ঘোষণা > অজ্ঞাত ফোনের পর হামলা > মনগড়া ফল : অভিযোগ সাক্কুর

পরের সংবাদ

প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি শুরু আজ

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আজ বুধবার প্রথম প্রহরে রাজধানীর কমলাপুর ও কারওয়ান বাজার থেকে ভাসমান লোক গণনার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি-২০২২। দেশের ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো এই শুমারি শুরু হলো। আগে আদমশুমারি বলা হলেও এবার নাম পরিবর্তন করে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ নাম দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেনসহ বিবিএসের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনশুমারির মাধ্যমে দেশের তথ্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়। এ শুমারিতে কোনো ব্যক্তিই দ্বিতীয়বার গণনায় আসবে না। তবে কেউ বাদও পড়বে না। ভাসমান জনসংখ্যার তথ্যও থাকবে। ৪৫টি প্রশ্ন থাকবে, যা

২২-২৫ মিনিটের সময় লাগবে গণনাকারীর। তাছাড়া ট্যাবে শুমারির তথ্য ছাড়া অন্য কোনো কাজ করা যাবে না। ফলে আমাদের এসব ট্যাবে কোনো সমস্যা হবে না।
মো. দিলদার হোসেন বলেন, জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে দেয়া হবে। শুমারির মোট ১৩৩টি প্রতিবেদন থাকবে। যত দ্রুত সম্ভব মূল প্রতিবেদন দেয়া হবে। জনশুমারিতে প্রধান ৩৫টি প্রশ্ন থাকবে, এর পাশাপাশি আরো ১০টি তথ্য নেয়া হবে। ফলে জনশুমারিতে মোট ৪৫টি তথ্য নেয়া হবে।
তিনি বলেন, জনশুমারির ওপর যে কোনো দেশের সঠিক পরিকল্পনা নির্ভর করে। তাই বলব, ‘জনশুমারিতে তথ্য দিন, পরিকল্পিত উন্নয়নে অংশ নিন।’ আজ ১৫ জুন থেকে ২১ জুন দেশব্যাপী জনশুমারি হবে। শুমারি শুরুর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টাকে শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট বা সময় হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, একটি ওয়েবভিত্তিক ইনটিগ্রেটেড সেনসাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) প্রস্তুতসহ জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) গণনা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কন্ট্রোল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শুমারি কর্মী হিসেবে সারাদেশে প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী, ৬৪ হাজার সুপারভাইজার এবং বিবিএসের সাড়ে চার হাজারের অধিক কর্মচারী এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন। এছাড়া বিবিএসবহির্ভূত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় ৯০০ কর্মচারী জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। শুমারিতে সঠিক তথ্য প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণবিষয়ক গান, নাটিকা, ডকুড্রামা, শুমারি কাউন্টডাউন, ডকুমেন্টারি দেশের সব সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে। জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে স্থানীয় ক্যাবল টিভিতে জনশুমারি প্রচার, প্রচারসামগ্রী বিতরণ, ডকুমেন্টারি প্রচারসহ শুমারি চলাকালে মাইকিং করা হবে।
জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে দেশে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ এবং পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়