আবহাওয়ার পূর্বাভাস : অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা : রিফাতকে জয়ী ঘোষণা > অজ্ঞাত ফোনের পর হামলা > মনগড়া ফল : অভিযোগ সাক্কুর

পরের সংবাদ

জামায়াত-বিএনপির কৌশল রাজনীতিতে নতুন ধাপ্পাবাজি

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জামায়াত এবং বিএনপি আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে নতুন ‘কৌশল’ গ্রহণ করেছে। কৌশলটি হচ্ছে দুই দলের মধ্যে চার দশকের দৃশ্যমান ঐক্যকে আড়াল করে অন্যদের বোঝানো যে আসন্ন বৃহত্তর ঐক্যে জামায়াতকে রাখা হবে না! মজার ব্যাপারটি হলো সেই সিদ্ধান্তটি বিএনপি এককভাবে গ্রহণ করেনি, জামায়াত এবং বিএনপি উভয় দল গোপনে সভা করে ‘কৌশলগত’ সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে যেহেতু জামায়াতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধিতার অভিযোগ ও প্রমাণ রয়েছে, বিচারে জামায়াতের কয়েকজন নেতা দণ্ডিত হয়েছেন। তাই জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশিদের মধ্যে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। তাই সবাইকে বুঝ দেয়ার এমন নতুন ‘কৌশল’ নেয়া হয়েছে। জামায়াত নিঃসন্দেহে ভীষণ চতুর এবং চাতুর্যের অভিজ্ঞতায় পোড় খাওয়া। বিএনপিও কম চতুর দল নয়। সুতরাং দুই দল মিলিতভাবেই যখন এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন এই ‘কৌশলকে’ ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। দুই দলই অন্যদের চোখে ধুলা দিয়ে নিজেদের মতো করে আন্দোলনে থাকবে যাতে কেউ টের না পায়। কেউ কেউ হয়তো জামায়াত এবং বিএনপির এই ধুলায় ‘রাজনৈতিক’ দৃষ্টি কিছুটা হারাতেও পারেন। আবার কারো কারো জন্য এসবের প্রয়োজনও নেই। তারা বিএনপি এবং জামায়াতের ঘনিষ্ঠতায় কোনো দোষ দেখেনও না। তবে এসব রাজনৈতিক দলের নাম-পরিচয় কিছুটা শোনা গেলেও কর্মী-সমর্থক বেশি নেই। আছেন দলের এক বা দুজন নেতা যাদের কিছুটা পরিচয় আছে। এমন নেতাসর্বস্ব দল দেশে এখন কতটি তা গুনে শেষ করা হয়তো যাবে না। বিএনপি মূলত বিদেশিদের বুঝানোর লক্ষ্যেই জামায়াত সংশ্লিষ্টতা এই আন্দোলনে থাকবে না সেটি দেখানোর জন্যই এই অপকৌশলটি নিয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্যে যখন কৌশল প্রয়োগ করা হয় তখন সেটিকে অপকৌশলই বলা হয়। রাজনীতিতে আদর্শগতভাবে যারা প্রতিক্রিয়াশীল, অপশক্তি, সুবিধাবাদী, হঠকারী, তাদের গোটা রাজনীতিই অপরাজনীতি কৌশল ও অপকৌশল বলে রাজনীতির নির্মোহ বিশ্লেষণে নির্দ্বিধায় নির্ধারণ করা যায়। অপরাজনৈতিক শক্তি বলতে আমরা আদর্শগতভাবে সেইসব দল, গোষ্ঠী এবং তাদের সহযোগীদের চিহ্নিত করতে পারি যাদের রাজনীতি মুখে গণতন্ত্র, স্বাধীনতার ছদ্মাবরণ ধারণ করলেও কার্যত তাদের মতাদর্শ প্রতিক্রিয়াশীল, স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িকতানির্ভর এবং বৃহত্তর অর্থে রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণচিন্তাবিরোধী, আধুনিকতাবিরোধী।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির জন্ম জনগণের রাজনৈতিক অধিকার আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নয়, বরং রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তিকে নির্মূল, ভেঙে তছনছ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে একটি প্রতিক্রিয়াশীল, স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে পাকিস্তান কালের অতিডান, অতিবাম, হঠকারী, সুবিধাবাদী এবং সরাসরি স্বাধীনতায় বিরোধিতাকারী গোষ্ঠীকে একত্রিত করার মাধ্যমে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করা হয়। এই প্ল্যাটফর্মে নীতি, আদর্শ, কৌশল মোটেও গোপন ছিল না। একত্রিত হওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিগুলোও অপরিচিত ছিল না। ফলে রাষ্ট্রক্ষমতার সুবিধাপুষ্ট হয়ে বহু মতাদর্শের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর একত্রিত নাম ও সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হয় বিএনপি। নামে বিএনপি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্রসহ কয়েকটি আদর্শ গ্রহণ করলেও শাসনকালে যে প্রমাণ রেখেছিল তাতে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ভেঙে বাংলাদেশি যে জাতীয়তাবাদের সেøাগান দেয়া হয় তা পাকিস্তানকালের মুসলিম জাতীয়তাবাদেরই সমার্থক। পাকিস্তান রাষ্ট্র দর্শনের সঙ্গে নবগঠিত বিএনপির আদর্শগত কোনো পার্থক্য নেই। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ এবং বাহাত্তরের সংবিধান দলটির মূল চেতনার সঙ্গে কখনোই সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। সে কারণে স্বাধীনতাবিরোধীদের সংগঠিত করে দল গঠন, জামায়াতে ইসলামকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করে রাজনীতির মাঠে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ করে দেয়া হয়। বিএনপি এবং জামায়াত ১৯৮২ সালের পর নতুন বাস্তবতায় এক জোটে আবির্ভূত হয়।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনা আওয়ামী লীগ এবং কয়েকটি বাম রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে শুরু হয়। দলগুলো ১৫ দলীয় ঐক্যজোট গঠন করে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি, চরিত্র এবং এর অর্জন কোন লক্ষ্যে পৌঁছানো প্রয়োজন সেই দূরবর্তী চিন্তা, পরিকল্পনা, নীতি-কৌশল ও লক্ষ্য ১৫ দল স্থির করতে পারেনি। শুধু সামরিক শাসক এরশাদকে উৎখাতের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রের মুক্তি তারা দেখতে পেয়েছিল। কিন্তু গণতন্ত্র কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িকতা, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও ’৭২-এর সংবিধানবিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তির অংশগ্রহণে সংগঠিত আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত হওয়ার নয় এই কঠিন সত্যটি উপলব্ধি করতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ এবং বাম গণতান্ত্রিক শক্তির নেতারা বুঝতে ভুল করেছিলেন। তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে সব প্রগতিশীল এবং প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির সমর্থন এবং অংশগ্রহণকে যতটা গুরুত্ব দিয়েছিলেন এর পরিণতি সম্পর্কে মোটেও উপলব্ধি করতে পারেননি। সে কারণেই যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি-জামায়াত তথা সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ৭ দলীয় জোটকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। সেই আন্দোলনের অভিজ্ঞতা এখনো পর্যন্ত স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতিহাসের পথ পরিক্রমার মূল্যায়নে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়নি। অধিকন্তু এখন আশির দশকের যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়টিকে অন্ধের মতো অনেকেই রাজনৈতিক আন্দোলনের অর্জন হিসেবে দেখার চেষ্টা করে থাকে। সে কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনে আশির দশকের যুগপৎ আন্দোলনের ধারণা ও বিষয়টিকে হাজির করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ধারণা দেয়া হচ্ছে আশির দশকের যুগপৎ আন্দোলন যেভাবে ‘সফল’ হয়েছিল, সেভাবে একাধিক জোট বা মঞ্চ তৈরি করা গেলে বর্তমান সরকারবিরোধী আন্দোলনও সফল করা সম্ভব হবে। এই ধারণা কেবলমাত্র রাজনীতির গভীরতাকে যারা দেখতে পায় না, স্পর্শ করতে পারে না তাদেরই পুলকিত কিংবা তুষ্ট করতে পারে। কিন্তু গোটা দেশের রাজনীতি এখন আদর্শবিরোধিতা, স্বার্থপরতা, ব্যক্তি স্বার্থোদ্ধার, আন্তর্জাতিক নানা অপশক্তির গোপন সংশ্লিষ্টতা এবং দেশীয় নানা অপশক্তির এক জটিল দৃশ্য-অদৃশ্যমান অপশক্তির কৌশল-অপকৌশলের রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই রণক্ষেত্রে অতীতেও এসব শক্তি নানা নামে ও পরিচয়ে যুক্ত থাকলেও আন্দোলনের শেষ পরিণতি ছিনিয়ে নেয়ার গোপন ষড়যন্ত্রটি অনেকেরই বুঝতে কয়েক দশক সময় লেগে গিয়েছিল।
১৯৯০ সালে মনে হয়েছিল বাংলাদেশ গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটাতে যাচ্ছে। তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠিত হবে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ধারায় পরিচালিত হবে। কিন্তু ’৯১-এর নির্বাচনের আগে বিএনপি এবং জামায়াতের দীর্ঘ বন্ধুত্ব ও ঐক্যের সামান্যতম লক্ষণ দৃশ্যমান ছিল না, ভেতরে ভেতরে জামায়াত এবং বিএনপি কাকে কাকে নির্বাচিত করে আনা হবে সেভাবেই প্রার্থী মনোনয়ন এবং ভোটদানের গোপন নির্দেশনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিল। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বিএনপি সুকৌশলে ভারত বিরোধিতার জিগির, ইসলাম বিপন্ন হওয়ার সেøাগান তোলা, ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষ দেশে ফিরে আসা, বাকশাল প্রতিষ্ঠার খোয়াব দেখা ইত্যাদি সাম্প্রদায়িক বিভেদকে ছড়িয়ে দেয়। জামায়াত এবং অন্য সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীরা একইভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় যে অপকৌশলগুলোকে কৌশল হিসেবে সম্মুখে নিয়ে এসেছিল তাতে সাধারণ ভোটাররা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদিকে ততটা প্রাধান্য দিতে চায়নি যতটা ধর্ম, ভারতবিরোধিতা ও সাম্প্রদায়িকতাকে গুলিয়ে ফেলেছিল। নির্বাচনী ফলাফলের পর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনৈতিক শক্তির অবস্থান মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের অনেক নিচে নেমে যায়। জামায়াত সেই নির্বাচনে ১৮টি আসন লাভ করে। তখনই কেবল জানা যায় জামায়াত এবং বিএনপি একে অপরকে জেতাতে মাঠে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভোট প্রদানের লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করেছিল। বিএনপি জামায়াতের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনে সংসদ সদস্যের দুটি নারী আসন জামায়াতকে প্রদান করে। যে জামায়াত নারী নেতৃত্ব হারাম বলে প্রচার করত সেই জামায়াত ’৯১-এর নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে জয়ী করা এবং তাকে প্রধানমন্ত্রী করার মধ্যে কোনো আদর্শগত বিচ্যুতি দেখেনি। দলের দুজন নারীকে সংসদ সদস্য করতেও তাদের আদর্শের বিচ্যুতি ঘটেনি।
জামায়াত এবং বিএনপির মাত্র এক দশকের বন্ধন কত গভীরে ছিল সেটি ’৯১-এর নির্বাচন পরবর্তীকালে প্রকাশিত হলো। এই বন্ধনের পেছনে আদর্শগত মিল ও ঐক্য ১৬ আনা এতে কোনো ভুল নেই। জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে বিএনপিকে ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের পাশে ‘কৌশলগত’ অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই কৌশলের সঙ্গে আদর্শের কোনো সংশ্লেষ ঘটায়নি। ১৯৯৬-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে পরাজিত করতে জামায়াতের সঙ্গে কোনো গোপন ঐক্য করেনি। তখন অবশ্য বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে নির্বাচনী ঐক্য সেভাবে গড়ে ওঠেনি। এর ফলে জামায়াত অবশ্য আশানুরূপ ফল পায়নি। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জামায়াত এবং বিএনপির মধ্যে পুরনো আদর্শিক ঐক্যে ফিরে যাওয়ার নতুন উপলব্ধি ঘটে। ১৯৯৯ সালে ৪ দলীয় জোট গঠন থেকে এই ঐক্য বড়ভাই-ছোটভাইয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এটি অনেকটাই তাদের আদর্শগত ঐক্য ও রক্তের সম্পর্কের মতোই, যা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানো এবং সরকার উৎখাতে উভয় দলের নেতকর্মীদের সম্পৃক্ততার মধ্যে দেখা গেছে।
বিএনপি এখন অন্যদের চোখে ধুলা দেয়ার জন্য জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য না থাকার দাবি করলেও দুই দলই ‘কৌশলগত’ভাবে ১৯৯১-এর মতো গোপনীয়তা রক্ষা করে লক্ষ্য হাসিলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩ দলীয় জোটের রূপরেখা যেমন কাগুজি প্রতিশ্রæতি ছিল। আগামীতে ক্ষমতায় আরোহণের পরও জামায়াত-বিএনপি এবং অন্যান্য সাম্প্রদায়িক শক্তির রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর সব প্রতিশ্রæতিই পদ্মার খরস্রোতে মুহূর্তের মধ্যেই ভেসে যাবে। তখন যুগপৎ আন্দোলনকারীদের কপালই শুধু ভাঙবে না, নিজেরাও খান খান হবে, বাংলাদেশকেও এক ভয়ংকর জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে- এতে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। বিএনপি এবং জামায়াতের পক্ষে ভোট এবং আদর্শের রাজনীতির এমন অবস্থান গ্রহণে কোনো দোদুল্যমানতা নেই, দুশ্চিন্তাও নেই। তারা বাংলাদেশকে তাদের হাতে নেয়ার জন্য দেশি-বিদেশি সবাইকেই এমন ধাপ্পাবাজির কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে। সুতরাং এদের হাতে বাংলাদেশের পরিণতি কী হবে তার রিহার্সাল ২০০১ ও ২০০৬-এ দেখা গেছে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়