মির্জা ফখরুল : খালেদার কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকেই

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ইসির ‘এসিড টেস্ট’

পরের সংবাদ

ক্ষেতলালে ভিজিডি চাল বিতরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়!

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির (ভিজিডি) চাল বিতরণে সরকারি নিয়ম অমান্য করে কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের ৪৩৯ জন সুবিধাভোগীর মাঝে প্রতি মাসে ভিজিডির ৩০ কেজি চাল বিতরণের সময় প্রত্যেকের কাছ হতে লেবার ফির অজুহাতে অতিরিক্ত ১৫ টাকা করে নেয়া হচ্ছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে।
অভিযোগ পেয়ে গতকাল সোমবার সরজমিন দেখা গেছে, প্রতি মাসের মতো ওই দিনও বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদে গরিব-অসহায় ৪৩৯ জন কার্ডধারীর মাঝে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হচ্ছে। নেয়া হচ্ছে ২১৫ টাকা কিন্তু বইয়ে (কার্ড) তুলে দেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। তবে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ২০০ টাকা করে নিতে শুরু করেন।
ভুক্তভোগী পূর্ণিমা ও রশিদসহ আরো অনেকেই জানান, প্রতি মাসে চাল বিতরণকালে তাদের কাছ থেকে ২১৫ টাকা নিয়ে কার্ডে ২০০ টাকা তুলে দেয়। অতিরিক্ত ১৫ টাকা কেন নেয় তারা সে বিষয়ে আমাদের কিছুই বলে না। আমরা গরিব বলে প্রতিবাদও করতে পারি না। ওই ইউনিয়নের হিসাব সহকারী রক্সির কাছে অতিরিক্ত ১৫ টাকা নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, আমি টাকা তুলি না। যারা টাকা তোলে এটা একমাত্র তারাই বলতে পারবেন। ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংক পাঠানপাড়া শাখার কর্মী নাহার ও সনি আক্তার বলেন, প্রতি মাসে চাল বিতরণের সময় আমরা দুজন কর্মচারী দায়িত্বে থাকি। সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে সেই টাকা বইয়ে তুলে স্বাক্ষর দেই। অতিরিক্তি ১৫ টাকা পরিষদের একজন তুলে থাকেন। তারা সেই টাকা কী করেন আমরা জানি না। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা লায়লা নাছরীন জাহান বলেন, উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৮১৭ জন কার্ডধারীকে বিনামূল্যে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডি চাল দেয় সরকার। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের তদারকিতে ও ইউপি চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে তালিকা তৈরি ও তাদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের ৪৩৯ জন কার্ডধারী গত ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে পান সেই ভিজিডি সুবিধা এবং ২৪ মাস মেয়াদে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাবেন। সরকারি মতে, দুস্থ কার্ডধারীদের পরিবারের কাছ থেকে কোনো প্রকার অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে বড়তারা ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন প্রথমে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিতে রাজি না হলেও পরে বলেন, অতিরিক্ত ১৫ টাকা আসলে যারা লোড-আনলোড করে সেসব লেবার খরচের জন্য হয়তো নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলাম তাই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। আমি তাই ইউনিয়ন পরিষদে খুব একটা সময়ও দিতে পারিনি। তিনি বিষয়টি ছোট-খাটো বিষয় বলে তা নিয়ে না লিখতে অনুরোধ জানান।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা লায়লা নাছরীন জাহান বলেন, সরকার পরিবহন খরচ বাবদ ১ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে টনপ্রতি ৬০০ টাকা ও ১১ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য টনপ্রতি ৭০০ টাকা করে চেকের মাধ্যমে চেয়ারম্যানদের দেয়া হয়। তার পরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা অন্যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়