মির্জা ফখরুল : খালেদার কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকেই

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ইসির ‘এসিড টেস্ট’

পরের সংবাদ

আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা : মেলান্দহ সরকারি কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ২ ভবনে পাঠদান

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাকিব আল হাসান নাহিদ, মেলান্দহ (জামালপুর) থেকে : মেলান্দহ সরকারি কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভবন এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, সবসময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ভবনটি ভেতরে গেলে চোখে পড়ে ছাদে ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ার চিত্র। দেখা মেলে আরসিসি পিলার ও গ্রেট বিমগুলোর ফাটল। কলেজের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, কলেজের দুটি ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। গত ৮ বছর আগে কলেজের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পরে ২০১৬ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়।
পরে পুরাতন ভবন সরেজমিনে পরিদর্শন করেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরিদর্শন শেষে ভবনটির অফিস রুম ও কন্ট্রোল রুম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ব্যবহার না করার জন্য বলা হয় এবং অন্য রুম মেরামতের শর্ত সাপেক্ষে ব্যবহারের অনুমতি দেন জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলান্দহ সরকারি কলেজের বিজ্ঞান ভবন, প্রশাসনিক ভবনসহ দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিজ্ঞান ভবনের তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলায় ভবনের বিভিন্ন জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। বেরিয়ে গেছে ভেতরের বড়। পিলারে ফাটল ধরেছে। জানালা দরজাগুলো ভেঙে পড়েছে। ভবনে প্রবেশ পথের প্রথম গেট ভেঙে পড়ে আছে। প্রশাসনিক ভবনের একটি রুমে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে, পলেস্তারা যেন খসে না পড়ে তার জন্য কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ঠিকা দিয়ে রেখেছে। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিনা আক্তার বলেন, ‘ক্লাসে ঢুকলে ভয় লাগে, কখন যেন ভেঙে পড়ে। আতঙ্ক নিয়ে কি ক্লাস করা সম্ভব, যদি কোনো সময় ভূমিকম্প হয় সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়বে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করে যাচ্ছি। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মেলান্দহ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাসান তৌফিক মো. আলী নূর বলেন, বর্তমানে সরকারি কলেজের অবকাঠামো অত্যন্ত নাজুক। ইতোমধ্যে প্রশাসনিক ভবনের একাংশ ও বিজ্ঞান ভবন মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রী ও আমরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর কলেজে কর্মকর্তার পদ সংখ্যা অত্যন্ত কম। কলেজে অধ্যক্ষসহ ৬২টি পদ থাকার দরকার। রয়েছে মাত্র ১৬ জন কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কলেজের ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। একটি ভবন ২০০৯ সালে ও ২০১৮ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞান শিক্ষা স¤প্রসারণ একটি প্রকল্প আছে। সেই প্রকল্পতে এমপি মহোদয়ের ডিও লেটারসহ ছয়তলা ভবন করার জন্য প্রস্তাব প্রকল্প পরিচালকের কাছে আবেদন করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়