সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

বেলকুচিতে পুলিশ প্রশাসনের নেই কার্যকরী উদ্যোগ : মাদকের ভয়াবহতা বাড়ছে

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) থেকে : সিরাজগঞ্জের একাধিক উপজেলা মাদকমুক্ত ঘোষণা করে সুফল পেলেও ব্যতিক্রম তাঁতসমৃদ্ধ বেলকুচি উপজেলা। তাঁতসমৃদ্ধ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাতে উত্তরজনপদের হাজার হাজার শ্রমিক জীবিকার টানে কাজ করে থাকেন। এই অঞ্চলটিকে মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদ অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মাদকের ভয়াবহতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ঢাকার ন্যায় গ্রাম পর্যায়ে কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত জড়িয়ে পড়ছে নানা অপকর্মে। মাদকসেবীর সংখ্যা বাড়াতে তৎপর ব্যবসায়ীরা। এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে স্কুল বা কলেজগামী তরুণ, বহিরাগত শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রশাসনের মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি না থাকার কারণে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের আগ্রাসন বাড়ছে বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। একাধিক সূত্র বলছে, বেলকুচির বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক মাদক কারবারি ব্যবসা করছে। এদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হলেও কোন অদৃশ্য ক্ষমতাবলে তারা মুক্তি পেয়ে যায়। ফলে তারা ফিরে যায় মাদক ব্যবসায়। মদ, গাঁজা, হেরোইনের পাশাপাশি ইয়াবা সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বেলকুচিতে। স্থানীয় প্রভাবশালী, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের ব্যক্তিদের সমন্বয়ের বড় সিন্ডিকেট বিরাজমান। ফলে সাধারণ মানুষ ভয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলে না। মাদক বিক্রির টাকার লেনদেন নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীরা। সম্প্রতি বেলকুচিতে মাদককে কেন্দ্র করে হয়েছে একাধিক সংঘর্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদকসেবী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবাতে আসক্ত। নিয়মিত ইয়াবা সেবন করি। নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতিদিন ব্যবসায়ীর এজেন্ট ইয়াবা সরবরাহ করে থাকে। ইয়াবা প্রায় সহজলভ্য। তবে মাঝেমধ্যে যখন চালান কম আসে তখন দাম বৃদ্ধি হয়।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বেলকুচিকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশের পাশাপাশি জনসাধারণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। জনগণ মাদক কারবারির সুনির্দিষ্ট তথ্য ও সহযোগিতা করলে মাদকের তৎপরতা অনেকাংশে কমে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, মাদক আমাদের তরুণ প্রজন্মকে তাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত করছে। মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে সমাজকে রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বেলকুচিকে মাদকমুক্ত করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
বেলকুচি উপজেলার সচেতন মহল ও সাধারণ জনগণের দাবি, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। এর সঠিক বাস্তবায়ন বেলকুচিতে হোক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়