রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

আহতদের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত : ৬ জনকে ঢাকায় নেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত চমেক হাসপাতালে ভর্তি সব রোগীই কম-বেশি চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল আই কেয়ারের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক। এর মধ্যে চোখে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত ছয়জন রোগীকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো জরুরি বলে জানান তিনি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এই চক্ষু বিশেষজ্ঞ বলেন, চমেকে ভর্তি ৬৩ জন রোগীর সবাই চোখে কোনো না কোনোভাবে আঘাত পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কারো শুধু চোখেই আঘাত। আবার কারো কারো শরীরের অন্য অঙ্গগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ছয়জনের চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের মধ্যে একজনের চোখের কর্ণিয়া ফেটে গেছে। তাকে প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিতে যেতে হতে পারে। আমরা চাই গুরুতর আহত ছয় রোগীকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে। রোগীর চিকিৎসায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মেডিকেল টিম গঠন করব। এছাড়া আরো ৫-৬ জন রোগীর চোখের অবস্থা খারাপ। কিন্তু তাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গের অবস্থা খুবই খারাপ। ফলে এখনি তাদের ঢাকায় নেয়া সম্ভব নয়। অন্তত সাত দিন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পরে হয়তো তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
অধ্যাপক হক আরো জানান, আহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই সুস্থ হয়ে যাবেন আশা করি। তবে তাদের চোখে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হতে পারে। তাই তাদের নিয়মিত বিরতিতে চিকিৎসা দেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাসায়নিকের কারণে চোখে সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। তবে কোনো কোনো রাসায়নিকের কারণে চোখে সমস্যা হয়েছে, তা এখনই বলা যাবে না।
এ সময় চমেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান ছাড়াও বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়